১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভুতুড়ে অঞ্চল থেকে পর্যটকদের গন্তব্য হওয়া গ্রামে উচ্ছেদের শঙ্কা

- ছবি : সংগৃহীত

ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ইতালিতে অবস্থিত লিগুরিয়ার পাহাড়ি গ্রাম বুসানা ভেকিয়া। পরে তা পুনর্নির্মাণ করেছিলেন একদল শিল্পী।

ক্রমে পর্যটকদের কাছে একটা জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠে বুসানা ভেকিয়া। সেই গ্রামেরই বাসিন্দারা এখন উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। সেই গ্রামে গিয়েছিলেন সংবাদদাতা।

আমি দাঁড়িয়ে আছি ইতালির মধ্যযুগীয় গ্রাম বুসানা ভেকিয়ার এক পুতুল নির্মাতার বাড়ির বাইরে। বৃষ্টি পড়ছে, সরু রাস্তা একেবারে নিস্তব্ধ। আমার সামনের যে কাচের দরজা রয়েছে সেখান থেকে ভেসে আসা হলুদ আলোয় ঝলমল করছে রাস্তার পাথরগুলো।

দরজাটা খুলতেই আমায় দেখে ‘ভেতরে আসুন! ভেতরে আসুন!’ বলে উঠলেন নিনা ফ্র্যাঙ্কো।

পরনে তিনি নীল রঙের একটা পোশাক, যা কাজের সময় পরা হয়ে থাকে। পোশাকে বিভিন্ন রঙের দাগ, স্কার্ফ দিয়ে বাঁধা তার চুল। ঘরের ভেতরের এই অংশ, যা তার ওয়ার্কশপকে দ্বিগুণ করে তোলে, ঠাঁসা রয়েছে হরেক রকমের হাতে বানানো পুতুলে।

কাঠের ক্রেটগুলো থেকে যেন বেরিয়ে এসে ঘরের ছাদের সাথে জুড়ে থাকা জাল থেকে ঝুলছে এক জাতীয় বিশেষ কাপড় দিয়ে বানানো পুতুল আর বার্নিশ করা কাঠের ম্যারিওনেট। এগুলো ভিড় করে রয়েছে ক্ষুদ্র থিয়েটার এবং কমিদিয়া দেল’আর্তের চরিত্রগুলোর ঠিক পাশে।

নিনা ফ্র্যাঙ্কোর পাশ দিয়ে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম বাড়ির পেছনের অংশে এখনো কাজ চলছে। রান্নাঘরের মেঝেতে স্তূপ রয়েছে পাথর।

নির্মীয়মাণ অংশে আমার নজর গিয়েছে লক্ষ্য করে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি এখনো নির্মাণের কাজ করে চলেছি। এই গ্রামের সবাইকেই কোনো না কোনো সময় নিজের বাড়ি তৈরি করতে হয়েছে।’

নিনা ফ্র্যাঙ্কো বুসানা ভেকিয়ার নতুন বাসিন্দাদের মধ্যে একজন। আর্জেন্টিনায় ২০ বছর কাটানোর পরে ২০২২ সালে এখানে এসেছিলেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন গ্রামে বসবাসকারী আন্তর্জাতিক শিল্পীদের সারগ্রাহী সম্প্রদায়ে।

চা খেতে খেতে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই বাবেল টাওয়ার। চোখ বন্ধ করলে আপনি শুনতে পাবেন ফরাসি, জার্মান, রুশ, স্প্যানিশ এবং তাও এখানকার মানুষদের কাছ থেকে।’

নিনা ফ্র্যাঙ্কোর ঘরের মেঝেতে পাতা একটা গালিচায় বসে চা খাচ্ছিলাম। আমাকে গ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে বলছিলেন তিনি।

ইতালির রিভিয়েরা উপকূলে সুসজ্জিত এবং রিসোর্টে ভরা শহরগুলোর মাঝে বুসানা ভেকিয়া কিন্তু এক অদ্ভুত চরিত্র। ইতালির সানরেমোর ওপরে থাকা পাহাড়গুলোর একেবারে মাথায় যেন আটকে আছে এই গ্রাম যার সুদীর্ঘ ইতিহাসের সর্বশেষ অধ্যায়ের শুরু একটা বিপর্যয় দিয়ে।

সালটা ১৮৮৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, লেন্টের প্রথম দিনের ভোরের ঘটনা। বুসানা ভেকিয়ার অনেক বাসিন্দাই গির্জায় ছিলেন, মাঠে কাজ করার এক দিন আগে প্রার্থনা করছিলেন।

শোনা যায়, ধর্মযাজক তার শেষ প্যারিশিয়ানের কপালে ভস্ম লাগিয়ে দেয়ার পরই ভয়ানক এক কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল। তার ঠিক পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় দফার ভূমিকম্পে গির্জার পুরু পাথরের ছাদ ধসে মাটিতে আছড়ে পড়ে।

সেদিন উত্তর লিগুরিয়ান উপকূলে আঘাত হানা ভূমিকম্পে ধ্বংস করে দিয়েছিল গ্রামের ওপরের অংশকে। অনেক বাসিন্দারাই মৃত্যু হয়েছিল বাড়ির বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায়। ভূমিকম্পে ধসে পড়েছিল তাদের বাড়ির ছাদ।

মোট ৫৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ওই ঘটনায়। গ্রামে ঢোকার মুখে একটা মার্বেল ফলকে লেখা আছে নিহতদের নাম।

সেপিয়ায় তোলা ছবিতে দেখা যায়, পাহাড়ের নিচ দিয়ে সারি সারি কাঠের ব্যারাক যেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল গৃহহীন বাসিন্দাদের। নিজেদের বাড়ি (যা ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছিল) থেকে কয়েক মিটার দূরত্বে তৈরি এই অস্থায়ী ব্যারাকেই তাদের বাস করতে হয়েছিল দীর্ঘ সাত বছর।

বাসস্থান পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। বুসানা নুয়োভা নামক পাহাড়ের নিচে নতুন গ্রামের জন্য প্রথম পাথর স্থাপন করা হয়েছিল দু’বছর পর, অর্থাৎ ১৮৯৪ সালে। পরিত্যক্ত হয়েছিল আসল গ্রাম, যা ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

এরপর কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। ভুতুড়ে অঞ্চলে পরিণত হয়েছিল বুসানা ভেকিয়া (ওল্ড বুসানা)।

চোরাচালানকারীরা ফ্রান্সে প্রবেশের আগে নিষিদ্ধ দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য এটি ব্যবহার করেছিল এবং দক্ষিণ ইতালি থেকে অভিবাসীরা কিছু সময়ের জন্য সেখানে চলে এসেছিল। প্রতিবারই এসব বাসিন্দাকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জোর করে উচ্ছেদ করে।

ছবিটা বদলায় ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে। মারিও জিয়ানি (যিনি ক্লিজিয়া নামে পরিচিত) নামে তুরিনের একজন সেরামিস্ট, এই গ্রামকে শিল্পী সম্প্রদায়ের আস্তানায় পরিণত করার কথা ভাবেন।

আস্তে আস্তে ইউরোপের বিভিন্ন অংশের শিল্পীরা তাকে অনুসরণ করেন। তাদের আকৃষ্ট করেছিল এমন একটা জায়গা যেখানে কোনো নিয়ম নেই। আশপাশের ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া জিনিস দিয়ে নিজের বাড়ি নিজেই তৈরি করা যায় আর দিন কাটানো যায় শিল্পকর্ম করেই।

এই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা এরমিনিয়া পাসকুচি। ১৯৭৪ সালে ২২ বছর বয়সে প্রথমবার বুসানা ভেকিয়ায় আসেন তিনি। প্রথম অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে স্মৃতিমেদুর হয়ে তিনি বলেন, ‘সেদিনের সুঘ্রাণ আমার এখনো মনে আছে।’

তার কথায়, ‘আমাদের দুটি কুয়া ছিল, যেখান থেকে পানি পেতাম আমরা। তবে সেই পানি শুধুমাত্র জিনিসপত্র পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা যেত। কাছাকাছি অবস্থিত শহর আরমা দি তাজ্জ্যাতে সপ্তাহে একবার যেতে হতো গোসল করার জন্য। আমরা তেলের প্রদীপ ও মোমবাতি ব্যবহার করতাম। হয়তো জায়গাটার প্রতি আমাদের যে মুগ্ধতা ছিল তারই একটা অংশ ছিল- জীবনের সাথে অপরিহার্য্য জিনিসের যোগকে আবার খুঁজে পাওয়া।’

বাড়ির সাদা রঙ করা দেয়ালগুলোর দিকে ইশারা করে তিনি বলেন, ‘এই পাথরের প্রেমে পড়তে আপনি বাধ্য।’

ভূমিকম্পের ক্ষত কিন্তু বুসানা ভেকিয়া প্রকাশ্যে বহন করে। মধ্যযুগীয় আদলে এই বাড়িগুলোর কোনোটা বিস্কুটের মতো ভেঙে পড়া, আবার কোনোটাতে সদ্য লাগানো ফুলের টব আর জানালায় রঙিন পর্দা। পাশের দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড় করানো রয়েছে বাচ্চাদের সাইকেল।

এই গ্রামে সব সময়ে উৎসবের মেজাজ থাকে। সর্বত্র শিল্পীদের ছাপ রয়েছে- দেয়াল জুড়ে রঙিন টালির টুকরো, চিত্রকর্মে সাজানো রাস্তা, সাজানো, পেঁচানো তার, কাদামাটি বা কুড়িয়ে পাওয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যগুলো ইস্টার আগের মতো বাসনার আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে।

ছাদহীন গির্জাটা কিন্তু আজও রয়েছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সেই গির্জা এখন ঘাস আর আগাছায় ভরা। গির্জার ‘ফ্রেস্কো’ যুক্ত খিলানে এখন পায়রা বাস করে।

সেই উত্তেজনায় ভরপুর ‘হিপ্পি’ দিনকাল আর নেই। একদা পরিত্যক্ত গ্রামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও আর ধরা ছোঁয়ার বাইরে নেই। এখন বিদ্যুৎ, পানি ব্যবস্থা রয়েছে। এয়ারবিএনবিও আছে। বেশ কয়েকটা রেস্তোঁরা আছে, স্থানীয় পানশালাও রয়েছে যা সপ্তাহান্তে ফরাসি এবং জার্মান পর্যটকদের ‘স্প্রিটজ’ পরিবেশন করে দ্রুত এবং লাভজনক ব্যবসা করে।

আজকাল শিল্পীদের অনেকেই তাদের শিল্পকর্মের পাশাপাশি ফ্রিজের জন্য তৈরি চুম্বক বিক্রি করেছেন। সৈকত রিসোর্ট এবং নিকটবর্তী সানরেমোর পাশাপাশি বুসানা ভেকিয়া কিন্তু আকর্ষণের আরেক মেরুতে পরিণত হয়েছে। এর কারণ বাসনা ভেকিয়ার সঙ্গীত উৎসব এবং ক্যাসিনো।

বুসানা ভেকিয়ার এত জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও কিংবা হয়তো সেই কারণেই (যেমনটা অনেক বাসিন্দাই মনে করেন) স্থানীয় প্রশাসন এখানকার বাসিন্দাদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে।

২০১৭ সালে বাসিন্দারা যে চিঠি পেয়েছিলেন তাতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই বাড়িগুলোতে থাকার কোনো আইনি অধিকার তাদের নেই। জানানো হয়েছিল, রাষ্ট্র তাদের অবৈধ দখলদার হিসেবে বিবেচনা করে।

এর উত্তরে গ্রামের লোকেরা একজোট হয়ে একটা গোষ্ঠী তৈরি করে নিজেদের ’আই রেসিলিয়েন্টি’ (রেসিলিয়েন্ট) বলে ঘোষণা করেছিলেন।

এই যৌথ গোষ্ঠীর সাথে আপাতত আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ এবং ইতালিয়ান স্টেট প্রপার্টি ডিপার্টমেন্ট-এর টানাপোড়েনে রয়েছে।

যে বাড়ি বাসিন্দারা নিজেরা পুনর্নির্মাণ করেছেন তার মালিক হিসেবে স্বীকৃতি চান তারা। প্রাথমিকভাবে প্রশাসন চেয়েছিল অবৈধভাবে বাড়িগুলো দখল করার জন্য রাষ্ট্রকে জরিমানা দিক বাসিন্দারা। কিন্তু ২০২৪ সালের জুন মাসে স্টেট কাউন্সিলের একটা রায়ে তা বাতিল করা হয়েছে।

সানরেমো পৌরসভা অচলাবস্থা সমাধানের জন্য বিভিন্ন উপায়ের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে সর্বজনীন নিলাম, যাতে গ্রামবাসীরা তাদের নিজেদের বাড়ি ‘বিড’ করতে পারেন। (যদিও কেউ বেশি দর হাঁকলে তাদের বাড়ি হারানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়)।

এরমিনিয়া পাসুচি বলেন, ‘পুরোটাই পরস্পরবিরোধী। একদিকে পৌরসভা বলছে, বুসানা ভেকিয়া, শিল্পীদের সুন্দর গ্রাম পরিদর্শন করুন! আবার একই সাথে তারা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে।’

আঞ্চলিক মেয়র আন্দ্রেয়া জাম্মাতোরো জানান, পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনাগুলো এমন সুযোগ যা হারানো যাবে না।

এর মাধ্যমে এই গ্রামকে একটা ‘রত্ন’তে পরিণত করা যায় একই সাথে নিশ্চিত করা যায় যে জায়গাটা যেন নিরাপত্তায় বেষ্টিত অবস্থাতেও থাকে। বুসানা ভেকিয়াতে বেড়ে উঠেছেন আন্দ্রেয়া জাম্মাতোরো।

এই গ্রাম নিরাপদ নয় এমন ধারণা প্রচলিত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এই গ্রামে সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনা ঘটেছে আমার সাথে। আমার বয়স তখন আট বছর। ভেঙে পড়া গির্জায় খেলছিলাম। সেই সময় একটা পাথর ওপর থেকে আমার মুখে এসে পড়ে। আমার নাক ফেটে গিয়েছিল। একমাত্র কারণ নিয়ে রাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। এবং সেটা হলো কোনো পর্যটক এখানে বেড়াতে এসে আহত হলে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে হাজার হাজার ইউরো ব্যয় করতে চায় না তারা (রাষ্ট্র)।’

অন্যান্য অনেক বাসিন্দার মতো, তিনিও চিন্তিত যে একবার যদি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের হাতে চলে যায় তাহলে এই গ্রাম পর্যটকে ভরে যাবে এবং তার ‘বোহেমিয়ান’ প্রকৃতি হারিয়ে ফেলবে।

সিদ্ধান্তের বিষয়ে গ্রামবাসীরা কিন্তু বিভক্ত। কেউ কেউ সম্পত্তির অধিকার পেতে চান। কেউ আবার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে দেয়া প্রতীকী বার্ষিক ভাড়ার বিনিময়ে তাদের বাড়িতে তাদের বাকি জীবন কাটানোর অধিকার পেতে চান। কয়েক বছর ধরে এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।

তবে সমষ্টিগতভাবে বাসিন্দারা ভয় পাচ্ছেন, রাষ্ট্র প্রতিটি বাসিন্দাকে উচ্ছেদের জন্য আদালতে টেনে নিয়ে যাবে। তারপর তাদের একে একে উৎখাত করবে।

দু’পক্ষের মধ্যে এই বিরোধের কারণে, ইউরোপীয় পুনরুদ্ধার তহবিলের ১৫০ লাখ ইউরো, যা গ্রামের পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা যেত তা চলে গিয়েছে সানরেমোতে।

অবশ্য এই নিয়ে বাসিন্দারা কিছু মনে করেছেন এমনটা নয়। তারা আবর্জনায় ঘেরা গ্রামের ভাঙাচোরা অবস্থায় অভ্যস্ত। বাড়ির বাইরে তারের জট নিয়ে ভাবেন না তারা। ফুঁটো হওয়া ছাদ তারা নিজেরাই জোড়াতালি দিয়ে ফেলেন।

আসলে তারা যা রক্ষা করার চেষ্টা করছেন সেটা কোনো পার্থিব বস্তু নয়। তারা বাঁচাতে চাইছেন মুক্তমনা এবং স্বাধীনতার চেতনার সেই অনুভূতি, যা গত ৬০ বছর ধরে বুসানা ভেকিয়াকে স্বকীয় করে তুলেছে।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement