০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১ মহররম ১৪৪৬
`

ইউক্রেনে জরুরি আকাশ প্রতিরক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে জরুরি আকাশ প্রতিরক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের চাপে পড়া আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে আরো অস্ত্র-শস্ত্র এবং রাশিয়ার বাহিনীকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করতে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছে।

বুধবার পেন্টাগনে ইউক্রেনের জন্য দুই স্তরের নিরাপত্তা সহযোগিতা প্যাকেজ প্রদানের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। এই সাহায্যের মূল্য হচ্ছে ২৩০ কোটি ডলার।

প্রাথমিক সাহায্যের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র, যার মূল্য হচ্ছে ১৫ কোটি ডলারের মতো।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমরাস্ত্রের মধ্যে থাকছে ইউক্রেনের HAWK বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য আরো ক্ষেপণাস্ত্র এবং হাই মবিলিটি রকেট সিস্টেমের জন্য অস্ত্র-শস্ত্র। এতে আরো রয়েছে গোলা বারুদ; টিউব লঞ্চড, অপটিকালি ট্র্যাকড, ওয়াইয়ার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র এবং জেভলিন অ্যান্টি আর্মার সিস্টেম।

এই সাহায্যের দ্বিতীয় অংশ, যার মূল্য হচ্ছে ২২০ কোটি ডলার, ব্যবহার করা হবে ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম এবং ভূমি থেকে বাতাসে নিক্ষেপণযোগ্য ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সিস্টেম ক্ষেপণাস্ত্র। এই সিস্টেম যুক্ত করে পরে চালান দেয়া হবে।

এই সাহায্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন পেন্টাগনে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভকে স্বাগত জানান।

ওই বৈঠকের আগে অস্টিন উমেরভকে বলেন, ‘ইউক্রেন এক কঠিন লড়াইয়ে লিপ্ত আছে। ক্রেমলিন আপনাদের শহর ও বেসামরিক জনগণের ওপর তীব্র বোমা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।’

অস্টিন আরো বলেন, ‘ভুল করবেন না, ইউক্রেন একা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র কখনো তার সমর্থন থেকে সরে আসবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রর এই নতুন সাহায্যের ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেই যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে, যেখানে আলোচ্য সূচির শীর্ষে রয়েছে রাশিয়ার চলমান আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের জন্য আরো সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি।

পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক পরিষদের সিনিয়র ফেলো চার্লস কুপচান বলেন, ‘আসন্ন ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিষগুলো প্রদানের কথা উঠে আসবে তা হলো যেমনটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন বলেছেন সেটি হলো হার্ডওয়েআর: গেদালাবারুদ, এয়ার ডিফেন্স ইন্টারসেপ্টার এবং অন্যান্য ধরনের অস্ত্র-শস্ত্র, যা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লোকজনের জন্য প্রয়াজনীয়।’

কুপচান বলেন, ‘ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন যদি কিছু তুলে ধরতে চায় তাহলে তা হলো দীর্ঘ দিন ধরেই অব্যাহতভাবে সাহায্য প্রদান। কারণ আমার মনে হয়, এখানে বার্তাটা হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেনের শেষ দেখতে পারবে না, পাশ্চাত্যের শেষও দেখতে পারবে না।’

এই মুহূর্তে যদিও রাশিয়ার অবিরত আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অসুবিধার মুখে পড়েছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement