২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ফ্রান্সে ডানপন্থী উত্থানে জার্মানির সাথে সম্পর্ক তিক্ত হবে?

ফ্রান্সে ডানপন্থী উত্থানে জার্মানির সাথে সম্পর্ক তিক্ত হবে? - ছবি : ডয়চে ভেলে

ফ্রান্সে প্রথম ধাপের নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থি ন্যাশনাল ব়্যালির (আরএন) জয় জার্মান রাজনীতিবিদদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তারা এর ফলে ফ্রাঙ্কো-জার্মান সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন।

ল্য পেন এবং তার ডানপন্থী ন্যাশনাল ব়্যালি ফ্রান্সের প্রথম ধাপের নির্বাচনে শীর্ষ অবস্থান জয় করেছে।

জার্মান রাজনীতিবিদরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, এই ফল ফ্রাঙ্কো-জার্মান সম্পর্কে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে।

সবুজ দলের নেতা রিকার্ডা লাং এবং বিরোধী দল সিডিইউর মারিও ফোগ্ট সেই জার্মান রাজনীতিবিদদের মধ্যে আছেন যারা মনে করেন যে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ভুল করেছেন।

আরএন দলের নেতা জর্ডান বারডেলা অবশ্য নির্বাচনের আগেই জানিয়েছেন যে তিনি সরকারপ্রধান হলে বার্লিনের সাথে সম্পর্কে আপাতত কোনো পরিবর্তন আনবেন না।

তবে বার্লিনভিত্তিক জার্মান ইন্সটিটিউটি ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি এফেয়ার্সের গবেষক রনিয়া ক্যাম্পিন বলেন, ‘আরএন বরাবরই জার্মানির সমালোচনা করেছে এবং কখনো কখনো শত্রুতাপূর্ণ মনোভাবও দেখিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে যে মাক্রোঁ জার্মানির কাছে ফ্রান্সের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন এবং ক্ষমতায় গেলে তারা এই বিষয়টির ইতি ঘটাবে।’

আরএন ক্ষমতায় গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং বার্লিনের সাথে প্যারিসের যেসব বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হতে পারে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ইইউতে ফ্রান্সের আর্থিক প্রতিশ্রুতি কমিয়ে দেয়া, ইইউর বিদ্যুতের বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়া, অভিবাসন চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং ইইউর বাইরে থাকা দেশগুলোর মানুষদের ওপর দেশটি ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ। এসব সিদ্ধান্ত আদৌ দলটি বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রতি ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে, যদি উগ্রডানপন্থীরা ক্ষমতায় যায়।

ফরাসি এই নির্বাচনের কারণে অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে পরিবর্তন আসছে না। তবে মাক্রোঁ ক্ষমতায় থাকলেও তার পক্ষে অনেক কিছু করাই কঠিন হয়ে পড়বে এবং আরএন দলের নেতা বারডেলাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে তার কাজ করতে হতে পারে।

আর আরএন নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও পরিস্থিতি জটিলই থাকবে মাক্রোঁর জন্য। কারণ তখন জাতীয় সংসদে ডানপন্থি এবং বামপন্থিরা একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে থাকলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে।

ফলে আগামী মাসগুলোতে জার্মান সরকারকে সবচেয়ে বড় প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement