২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইউক্রেন শান্তি-বিবৃতিতে ৮০ দেশ, নেই ভারত

ইউক্রেন শান্তি-বিবৃতিতে ৮০ দেশ, নেই ভারত - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে সই করল ৮০টির বেশি দেশ। কিন্তু ভারত, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশ তাতে সই করেনি।

সুইজারল্যান্ডে ৫০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ ৯০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা করলেন। তারপর যৌথ বিবৃতিও জারি হলো। তবে ভারত, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকার মতো কিছু দেশ সেই যৌথ বিবৃতির অংশ হলো না।

ইউক্রেনে শান্তির জন্য

ইউক্রেনে শান্তি আনার জন্য এরকম সম্মেলন এই প্রথম। সুইজারল্যান্ডে পাহাড়ের ঢালে বিলাসবহুল ও ঐতিহাসিক রিসর্টে ৫০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। এতজন রাষ্ট্রনেতাকে একজায়গায় আনা ও শান্তিআলোচনা করার পিছনে কতটা কূটনৈতিক প্রয়াস লাগে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

তবে রাশিয়াকে এই বৈঠকে ডাকা হয়নি এবং চীন এই বৈঠক বয়কট করে। সুইজারল্যান্ড জানিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে শান্তির দীর্ঘ রাস্তায় চলার জন্য একটা ভিত্তি প্রস্তুত করতে চেয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা।

সবকটি মহাদেশের প্রতিনিধি-সহ এতজন রাষ্ট্রপ্রধানের যোগদান অবশ্যই একটা বড় ঘটনা। গত কয়েক মাস ধরে কূটনৈতিক চেষ্টার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে।

দুই দিন ধরে এই বৈঠকে ইউক্রেনে শান্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মস্কোর নিন্দা করার পরেও বলেছেন, যুদ্ধে জড়িত সব পক্ষকে নিজেদের মনোভাব নরম করতে হবে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সমঝোতার পথ বেশ কঠিন।

আলোচনার পর বিবৃতি দেয়া হয়। যৌথ বিবৃতিতে সই করে ৮০টিরও বেশি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ-র সব দেশ, ঘানা, কেনিয়া, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন্স, কাতার, গুয়াতেমালার মতো দেশগুলি তাতে সই করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধঘোষণা করেছে, তাতে ধ্বংস ও মানুষের কষ্টের ছবি সামনে এসেছে। এর ফলে বিশ্বে একটা সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা কোনো দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে। ইউক্রেন-সহ প্রতিটি দেশের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বর নীতির প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।

এই বৈঠকে ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষার কথাও বলা হয়েছে।

ভারত কেন সই করল না?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বা অন্য কোনো মন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেননি। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব(ওয়েস্ট) পবন কাপুর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই শীর্ষবৈঠকে ভারত কোনো বিবৃতি বা অন্য কোনো নথিতে সই করেনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত এই বিরোধের দীর্ঘকালীন ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তাই তারা এই শীর্ষবৈঠকে যোগ দিয়েছে, এর আগে এনএসএ পর্যায়ের বৈঠকেও যোগ দিয়োছিল।

কিন্তু এই বিরোধের মীমাংসার জন্য দুই পক্ষের মধ্যে বাস্তবসম্মত ও আন্তরিক আলোচনা প্রয়োজন। ভারত চায়. সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ মিলে চেষ্টা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যার সমাধান হোক।

ভারত আগেই জানিয়েছে, কূটনৈতিক পথে এবং আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement