২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যুদ্ধবিরতি : হামাসের প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখছে মধ্যস্থতাকারীরা

ক্ষতিগ্রস্ত গাজা ভূখণ্ড - ছবি : সংগৃহীত

মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, তারা হামাসের প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন ও তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হাত মিলিয়ে তারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে যাবেন। তারা হামাসের প্রতিক্রিয়া ভালো করে খতিয়ে দেখছেন। তারপর তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

কাতার ও মিসরের বিবৃতিতে ইসরাইলের কোনো উল্লেখ নেই।

এর আগে, হামাস ও তাদের সহযোগী ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছিল, তারা চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইতিবাচক মনোভাব দেখাবে।

হামাস এখনো প্রায় ১২০ জন ইসরাইলিকে পণবন্দী করে রেখেছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আক্রমণ চালিয়ে ২৫০ জনকে পণবন্দী করে নিয়ে যায় তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব হলো, গাজা নিয়ে ইসরাইল ও হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে আসবে। তিনটি পর্যায়ে তা কার্যকর হবে। প্রথম পর্যায়ে, ইসরাইলের সেনা গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে আসবে। যে সব ফিলিস্তিনি ওই জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারা নিজেদের জায়গায় ফিরবেন।

এরপর প্রতিদিন ৬০০টি ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গাজায় ঢুকবে। হামাস নারী, বয়স্ক ও আহত পণবন্দীদের মুক্তি দেবে। ইসরাইলও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি বন্দী ও আটক ইসরাইলের পুরুষ সেনাকে মুক্তি দেবে হামাস। ইসরাইলের সেনা পুরো গাজা ভূখণ্ড থেকে সরে যাবে।

তৃতীয় পর্যায়ে গাজার পুনর্গঠনে সাহায্য করবে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো।

জাতিসঙ্ঘ এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, সোমবার রাতে তিনি যখন নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করেন, তখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে রাজি থাকার কথা আবার জানিয়েছেন।

ব্লিঙ্কেনের ঘোষণা
গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ নিয়ে জর্ডনের উদ্যোগে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র ৪০ কোটি ডলারের মানবিক সাহায্য দেবে।

মঙ্গলবার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি যেন হয়, তার জন্য ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। তিনি বলেন, গাজা ভূখণ্ডে যাতে আরো ত্রাণ পাঠানো যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

হামাসের প্রতি ব্লিঙ্কেনের অনুরোধ, তারা যেন এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। গোটা বিশ্ব এর পক্ষে। এই প্রস্তাবে যতটা সম্ভব স্পষ্ট করে সব বিষয় বলা হয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement