ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে রাশিয়ার যোগ দেবে : প্রত্যাশা কিয়েভের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ জুন ২০২৪, ১২:৪০
ইউক্রেনে শান্তির জন্য প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে কিয়েভ মঙ্গলবার বলেছে, তারা প্রত্যাশা করছে যে রাশিয়া দ্বিতীয় শীর্ষ শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবে। যাতে সঙ্ঘাতের অবসানে একটি আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত রোডম্যাপ পাওয়া যায়।
তবে রাশিয়া বলেছে, তারা এই সপ্তাহান্তের বৈঠকে যোগ দিতে আগ্রহী নয়। কারণ স্বাগতিক সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে ইউক্রেন দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বৈঠক থেকে কিছু সুনির্দিষ্ট ফলাফল পেতে চায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিসের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের আগে মস্কোর সাথে জড়িত পূর্ববর্তী আলোচনার ফরমেটের ‘খারাপ অভিজ্ঞতা’ থেকে এই ধারণা পাওয়া যায় যে এই যুদ্ধের অবসান একটি বিস্তৃত প্ল্যাটফর্মের সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে নিহিত।
ইয়ারমাক বার্লিন থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ইউরোপীয় বার্তাসংস্থাগুলোকে বলেন, ‘দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের জন্য যে সমস্ত দেশ যুক্ত হতে আগ্রহী আমরা সেই সকল সহকর্মীদের সাথে কাজ করব। আমরা এক সাথে যৌথ পরিকল্পনা প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করছি, যা এই সমস্ত দায়িত্বশীল দেশগুলো সমর্থিত হবে এবং আমরা দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার একজন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানোর এবং এক সাথে এই যৌথ পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করার সম্ভাবনা খুঁজছি।’
সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড সোমবার বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে ইউক্রেনের জন্য একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ খুঁজে বের করা এবং ভবিষ্যত শান্তি প্রক্রিয়ায় যুদ্ধরত উভয়পক্ষকে জড়িত করার জন্য একটি কাঠামো সংজ্ঞায়িত করা।
বার্গেনস্টক রিসোর্ট কমপ্লেক্সে দু’দিনের শীর্ষ সম্মেলনে সুইজারল্যান্ড ১৬০টিরও বেশি দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯০টিরও বেশি দেশ ও সংস্থা এতে যোগদানের বিষয় নিশ্চিত করেছে।
ইয়ারমাক বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি ইতোমধ্যেই একটি সফলতা। কারণ এতে সকল মহাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক দেশ অংশগ্রহণ করছে।’
তিনি বলেন, ইউক্রেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ‘সমস্ত ধারণা নিয়ে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত’ যদি তারা যুদ্ধ বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
ইয়ারমাক বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূমি মুক্ত করতে চাই। আমরা লোকদের, সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে চাই এবং আমরা ন্যায়বিচার চাই।’
রাশিয়ার মিত্রদের মধ্যে চীন দূরে থাকছে, অন্যদিকে ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও অনুপস্থিত বলে মনে হচ্ছে।
ইয়ারমাক বলেন, ‘আমরা জানি রাশিয়া এই শীর্ষ সম্মেলনের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর পরিশ্রম করছে। তারা দেশগুলোকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে।
ইয়ারমাক বলেন, ‘আমরা চীনের অবস্থান শোনার জন্য প্রস্তুত। আশা করা যায় যে তারা শিগগিরই এই প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা