২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পশ্চিমা দেশের দেয়া কিছু এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিদেশের ঘাঁটিতে রাখতে পারে : ইউক্রেন

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

ইউক্রেনের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা সোমবার বলেছেন, রুশ হামলা থেকে রক্ষা করতে পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর দেয়া কিছু এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিদেশের ঘাঁটিতে রাখা হতে পারে।

রুশ আক্রমণ প্রতিহত করায় সাহায্য করতে ইউক্রেনকে ৬০টির বেশি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান দেয়ার অঙ্গীকার করেছে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়ে। বিমানগুলো সরবরাহের আগে ইউক্রেনের পাইলটরা বর্তমানে যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে এই বিমান সরবরাহ করা হতে পারে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর অধীনস্থ অ্যাভিয়েশন বিভাগের প্রধান সের্হি হলুবতসভ বলেন, ‘ইউক্রেনের বাইরে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক বিমান নিরাপদ বিমানঘাঁটিতে রাখা হবে যাতে এখানে সেগুলোকে নিশানা করা না যায়।’

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি-কে হলুবতসভ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিমানগুলোকে যেহেতু মেরামত করা হচ্ছে এবং পাশাপাশি বিদেশে ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তাই ওই এফ-১৬ জঙ্গিবিমানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের জায়গায় ব্যবহার করা হতে পারে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর স্থাপনায় হামলা করার বিষয়ে তারা বিবেচনা করতে পারে, যদি তারা ইউক্রেনে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানগুলোকে স্থান দেয়।

গত বছর পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেন সীমান্তের বাইরে বিমানঘাঁটিতে যদি সেগুলোকে রাখা হয় এবং যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহৃত অস্ত্র কিভাবে ও কোথায় হামলা করা যায় তা ভেবে দেখতে হবে। ন্যাটোর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার এক গুরুতর বিপদ তৈরি করছে এটি।’

রুশ সংসদের নিম্নকক্ষের প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভ সোমবার সে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে বলেন, ইউক্রেনীয় এফ-১৬-কে আশ্রয় দেয়া ন্যাটোর ঘাঁটিগুলো মস্কোর ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হয়ে উঠবে, যদি রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান সেই ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করে।

হলুবতসভ উল্লেখ করেন, যুদ্ধক্ষেত্র ও সীমান্ত অঞ্চলকে রুশ গ্লাইড বোমা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে এফ-১৬ জঙ্গিবিমানগুলো। খারকিভসহ সৈন্য ও বসতি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে সোভিয়েত-যুগের ভারী এই গ্লাইড বোমা। এতে সুনির্দিষ্ট ও নিখুঁত গাইডেন্স সিস্টেম রয়েছে এবং বিমান প্রতিরক্ষার আওতার বাইরে উড়ন্ত বিমান থেকে এগুলো নিক্ষেপ করা যায়।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement