জার্মানিতে দক্ষিণপন্থী এএফডির ওপর চাপ বাড়ছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ মে ২০২৪, ১৫:১৭, আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ১৫:৫০
জার্মানির অতি-দক্ষিণপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) পার্টিকে নিষিদ্ধ করার জন্য চাপ বাড়ছে। আদালতের দু’টি রায়ে ধাক্কা খেয়েছে এই দল।
এএফডি পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই আছে। এখন আবার তা প্রবল হয়েছে।
গত সোমবার জার্মানির একটি আদালত এএফডির একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ওই আবেদনটি ছিল অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগ ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রোটেকশন অফ দ্য কনস্টিটিউশনের (বিএফভি) একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
বিএফভি এই রাজনৈতিক দলকে চরম দক্ষিণপন্থী বলে চিহ্নিত করেছে।
মঙ্গলবার আরেকটি আদালত এএফডি নেতা বিয়র্ন হকের বিরুদ্ধে রায় দেয়। তিনি এমন একটি স্লোগান ব্যবহার করেছিলেন যা নাৎসি পার্টির পার্লামেন্টারি শাখা ব্যবহার করতো।
ইতিহাসের স্নাতক ও ইতিহাসের সাবেক শিক্ষক হকে বলেন, ‘তিনি এই নিষিদ্ধ স্লোগানের উৎপত্তি জানতেন না।’
হকের ১৩ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৬ লাখেরও বেশি টাকা জরিমানা হয়েছে। এই অর্থ তৃণমূল স্তরে চরমপন্থা-বিরোধী অভিযানে খরচ করা হবে।
হকে এরপর জার্মানিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক কারণে আমায় শাস্তি দেয়া হলো।’
নিষিদ্ধ করার দাবি
স্যাক্সনির গ্রিন পার্টির বিচারমন্ত্রী মাইয়ার বলেন, ‘এখন এএফডিকে নিষিদ্ধ করার জন্য পদ্ধতি কতটা সফল হতে পারে তা খতিয়ে দেখা উচিত।’
স্যাক্সনি ও আরো একটি রাজ্যে এএফডি-কে চরম দক্ষিণপন্থী বলে অভিহিত করা হয়েছে।
আদালতের রায় এএফডির বিরুদ্ধে যাওয়ার পর সিডিইউ নেতা মার্কো ওয়ান্ডারউিটজ বলেন, ‘তিনি জার্মানির বুন্ডেসটাগে এএফডি-কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একটি প্রস্তাব আনবেন।
একটি জার্মান সাপ্তাহিকের খবর হলো, সিডিইউ মনে করছে, এখন আর চুপ করে থাকার কোনো অর্থ হয় না।
আগামী সেপ্টেম্বরে পূর্ব জার্মানির তিনটি রাজ্যে নির্বাচন হবে। সেখানে এএফডি অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক দল।
বার্লিনের জার্মান ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটসের হেন্ড্রিক ক্রেমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, এএফডির শক্তিকে কম করে দেখা উচিত নয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত বইতে তিনি বলেন, ‘আমরা যত বেশি সময় চুপ করে থাকব, আমাদের তত বেশি সাহসের দরকার হবে।’
তার বক্তব্য, তিনি একটাই কথা বলতে চান, সেটা হলো, এএফডি কতটা বিপজ্জনক।
ক্রেমার ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘মিডিয়ায় এএফডির লক্ষ্যর বিষয়টি খুব গুরুত্ব দেয়া হয়নি। তাদের সহিংসতার ইচ্ছা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমি তাই সরাসরি কথা বলেছি। দলটি কোন দিকে যেতে চাইছে তা বলেছি। তারা যা, সেটাই তাদের বলা উচিত।’
ক্রেমার মনে করেন, ‘বছরের পর বছর ধরে এএফডি চরমপন্থার দিকে ঝুঁকছে। এএফডি-র চ্যাট গ্রুপ আছে। সেখানে জার্মানি ও বিদেশের পার্লামেন্ট সদস্যরা আছেন।
সেখানে একটি চ্যাটে বলা হয়েছে, রাজনীতিবিদদের উপড়ে ফেলে বিপ্লব না করলে আমরা দিশা পরিবর্তন করতে পারব না।’
ক্রেমার বলেন, ‘আমার মতে পুরো এএফডি দলকে চরম দক্ষিণপন্থী দল বলে ঘোষণা করা উচিত। সমাজের বোঝা উচিত এএফডি কতটা বিপজ্জনক।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা