২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রোমানিয়া, বুলগেরিয়া আকাশ ও সমুদ্রপথে শেঙেন এলাকায় যুক্ত

রোমানিয়া, বুলগেরিয়া দুই দেশ আশা করছে, বছরের শেষ নাগাদ তারা শেঙেন এলাকার পূর্ণ সদস্য হবে। - ছবি : ডয়চে ভেলে

ইউরোপে ভিসামুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দিয়ে শেঙেন জোন দুটি নতুন দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এটা শুধু আকাশ ও সমুদ্র পথেই সীমাবদ্ধ।

আংশিকভাবে হলেও রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের এক দশকেরও বেশি পরে রোববার ভিসামুক্ত শেঙেন জোনে ব্লকের বাকি সদস্যদের সাথে যোগ দিয়েছে।

দেশ দুটো থেকে ভ্রমণকারীরা সমুদ্র বা আকাশপথে ভ্রমণের সময় ভিসা এবং পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যাওয়ার বদলে এমনিতেই শেঙেনভুক্ত বাকি অংশগুলোতে যেতে সক্ষম। একইভাবে শেঙেনভুক্ত অন্য দেশ থেকেও রোমানিয়া ও বুলগেরিয়াতে যাওয়া যাবে।

অস্ট্রিয়ার ভেটোর কারণে স্থল পথকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ইইউর বাইরে থেকে আসা অভিবাসীরা আরো সহজে অন্য ইইউ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন, এই আতঙ্ক থেকে প্রস্তাবে সায় দেয়নি অস্ট্রিয়া।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন শনিবার বলেছেন, ‘এটা উভয় দেশের জন্যই বড় সাফল্য।’

তার কথায়, ‘শেঙেন এলাকার জন্য এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সারা বিশ্বের মধ্যে অবাধ চলাচলের ক্ষেত্রে এটা বৃহত্তম একটি এলাকা। সকল নাগরিকের কথা ভেবে আরো শক্তিশালী, আরো ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ তৈরি করছি।’

শেঙেন এলাকায় ২৫টি অন্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সাথে ইইউভুক্ত নয় এমন দেশ সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড এবং লিস্টেনস্টাইনও রয়েছে।

শেঙেনে সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তির জন্য চাপ
রোমানিয়া বলেছে, তারা ভুয়া যাতায়াতের নথি জব্দ করতে এবং মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যখনতখন নজরদারি চালাবে।

দুই দেশ আশা করছে বছরের শেষ নাগাদ তারা শেঙেন এলাকার পূর্ণ সদস্য হবে। তারাই একমাত্র ইইউ সদস্য রাষ্ট্র যারা শেঙেনের সবরকম সুবিধা পায় না। এমনকি রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়ার পরে ব্লকে যোগ দেয়া ক্রোয়েশিয়াও গত বছরের জানুয়ারিতে শেঙেন এলাকায় সম্পূর্ণভাবে গৃহীত হয়েছে।

রোমানিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী কাতালিন প্রিদোইউ রোববার রোমানিয়ান সংবাদমাধ্যম নিউজ ডট আরওকে বলেছেন, ‘একাধিক কূটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে স্থল সীমান্তের সাথে (শেঙেনে) যোগদানের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’

রোমানিয়ার প্রধান সড়ক পরিবহন ইউনিয়ন ইউএনটিআরআর বলেছে, হাঙ্গেরির সীমান্তে গড় অপেক্ষার সময়সীমা ১৬ ঘণ্টা। এর ফলে পণ্যবাহী ট্রাকচালকেরা সমস্যায় পড়েন একাধিকবার।

সেক্রেটারি জেনারেল রাদু দিনেস্কু বলেছেন, ‘সীমান্তে দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে প্রতি বছর রোমানিয়ানদের কোটি কোটি ইউরো ক্ষতি হচ্ছে।’

বুলগেরিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হতাশা প্রকাশ করেছে। বুলগেরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিএ) ভ্যাসিল ভেলেভ বলেন, ‘বুলগেরিয়ান পণ্যের মাত্র তিন শতাংশ আকাশ এবং সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়, বাকি ৯৭ শতাংশ স্থলপথে পরিবহন করা হয়।’

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement