অ্যাপ-কর্মীদের অধিকার রক্ষায় সম্মত ইইউ
- ১২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪
উবার, ডেলিভারির মতো বিভিন্ন অ্যাপ-এ কাজ করা কর্মীদের মধ্যে কারা চাকরিজীবীদের মতো অধিকার অর্জন করবেন, তা ঠিক করতে প্রস্তাবিত আইনে সোমবার সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যদেশগুলোর শ্রম ও সামাজিকবিষয়ক মন্ত্রীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখের মতো কর্মী ‘গিগ অর্থনীতি’তে কাজ করেন। বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ, ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো গিগ অর্থনীতির অংশ।
‘দ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ক ডাইরেক্টিভ’-এ বলা হয়েছে, যে প্ল্যাটফর্ম তার কর্মীদের কাজের পারফরম্যান্সের ওপর নজর রাখে এবং কর্মীদের কত টাকা দেয়া হচ্ছে এবং তারা কত ঘণ্টা কাজ করছেন, সেসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, সেই প্ল্যাটফর্মের কর্মীদের কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরিজীবী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালে অ্যাপ কর্মীদের অধিকার রক্ষায় আইন তৈরি শুরু করে। গত ডিসেম্বরে তারা একটি খসড়ায় সম্মত হয়। এরপর সেটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ফ্রান্সের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ এটি আটকে দেয়। সে কারণে ইইউ আলোচকেরা আবার আলোচনায় বসে আইনে কিছু পরিবর্তন আনেন। সমালোচকেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত আইনটি অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।
সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ মন্ত্রীদের বৈঠকে আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জার্মানি এতে সমর্থন দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। আর ফ্রান্স বিরোধিতা করেছে। তবে যে দেশগুলো এটি সমর্থন করেছে সেসব দেশে ইইউর মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি বাস করেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী, আইনটি এখন পাসের জন্য ইইউ সংসদে পাঠানো হবে। সেখানে এটি সহজে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইনটি পাস হলে সদস্যরাষ্ট্রগুলো, একজন কর্মীকে কী বিবেচনায় চাকরিজীবী বলে গণ্য করা হবে, তার জন্য নিজেদের মতো করে নির্ণায়ক ঠিক করবে।
সোমবার মন্ত্রীরা আইনে সম্মত হওয়ার পর সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বিষয়টি শেয়ার করেছে ইইউর বর্তমান সভাপতি দেশ বেলজিয়াম। এতে বলা হয়, ‘আপনাদের ঘরে যারা খাবার ডেলিভারি করেন তাদের জন্য উন্নততর কর্ম পরিবেশ।’
ইউরোপীয় কাউন্সিল মনে করছে, আইনটি ইইউতে গিগ অর্থনীতিতে কাজ করা কর্মীদের ন্যূনতম সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে