২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মুখোমুখি অবস্থানে এএফডি ও জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা

মুখোমুখি অবস্থানে এএফডি ও জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা - সংগৃহীত

আবারো আদালতে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে জার্মানির উগ্র-ডানপন্থী দল এএফডি ও দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা। জনগণের মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখতে কাজ করে থাকে সংস্থাটি।

জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ‘ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রটেকশন অফ দ্য কন্সটিউশন’ (বেএফফাউ)-এর মতে, উগ্র-ডানপন্থী দল ‘অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচলান্ড’ (এএফডি) দেশটির সংবিধান-বিরোধী। ২০২১ সালে দলটির কার্যক্রম ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে উল্লেখ করে আদলতে একটি মামলা করা হয়। এএফডির পক্ষ থেকে কোলনের প্রশাসনিক আদালতে আপিল করা হলেও আদালত তা বাতিল করে দেয়। পরে মুনস্টারের উচ্চ আদালতে আপিল করা হলে ২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ মার্চ তার শুনানির দিন ঠিক করা হয়।

অবশ্য গোয়েন্দা সংস্থা (বেএফফাউ) কোনো নির্বাহী ক্ষমতা না থাকলেও সংস্থাটি জার্মানির ১৬টি প্রদেশের বিভিন্ন স্তরে কাজ করা স্থানীয় সংস্থাদের কাছ থেকে এএফডির গণতন্ত্র-বিরোধী কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে। যার ভিত্তিতে সরকার, দল অথবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিতে পারে। তবে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হলে তার আগে অবশ্যই সংসদে ওই বিষয়ে ভোট হতে হবে।

বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত উগ্র-ডানপন্থী
সমাজে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উগ্রবাদিতা থামাতে বেএফফাউ-এর কোলন সদর দফতর ও বার্লিনে প্রায় চার হাজার ৩০০ কর্মী কর্মরত রয়েছে। সংস্থাটির গত কয়েক বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে উগ্র-ডানপন্থার উদ্ভবকে জার্মানির গণতন্ত্রের জন্য সবেচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও সে প্রতিবেদনে দেশটির বামপন্থী ও ইসলামিক সংগঠনগুলোকেও রাখা হয়েছে।

২০১১ সালে ‘ন্যশনাল সোশ্যালিস্ট আন্ডারগ্রাউন্ড’ (এনএসইউ) প্রতিষ্ঠার পর গোয়েন্দা সংস্থা (বেএফফাউ) ও অন্যান্য সংস্থাগুলো ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এএফডির সদস্যদের ওপর নজরদারি করে। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তারা ব্যর্থ হয়।

আদালতের যাচাই-বাছাই
উগ্রপন্থী সংগঠন হিসেবে প্রমাণিত বা সন্দেহজনক কোনো সংগঠনের সদস্যদের ওপর নজরদারি করার ক্ষমতা জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার (বেএফফাউ) রয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করা যেতে পারে। এএফডি প্রতিবারই মামলার শুনানিতে তাদের বিরুদ্ধে করা বেএফফাউ-এর মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

এর আগেও বিভিন্ন সময় জার্মানির অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০১৩ সালে থুরিঙ্গিয়া প্রদেশের সরকার প্রধান বোডো রামেলো সাংবিধানিক আদালতে আপিল করলে আদালত তার ওপর করা নজরদারিকে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ হস্তক্ষেপ’ বলে রায় দিয়েছিল।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যার তদন্ত ও চাকরিতে পূর্ণবহালের দাবি গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত : হামাস অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যা : সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের প্রতিবাদ সমাবেশ নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার সাথে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে স্বাগত বিশ্ব নেতাদের আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা ববিতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির বিষয়ে সব পক্ষের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের হাসিনার পালানোর দৃশ্য মনে করতে বললেন ফারুকী ঢাকা ইপিজেড ও সংলগ্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস

সকল