ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ‘প্রকৃতি আইন’ পাস
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৪
কৃষক ও রাজনীতিবিদদের বিরোধিতার মুখে একটু শিথিল করেই ইউরোপের পার্লামেন্টে পাস হলো প্রকৃতি আইন। আইনটি চূড়ান্তভাবে পাস হলে প্রকৃতি সংরক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে এখন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বাড়তি উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর ৩২৯-২৭৫ ভোটে পাস হয়। ২৪ জন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন।
আইনটি ২৭ দেশের এই জোটের একটি ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির মূল অংশ। এর লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী। জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বড় বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৈরি এই আইনের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ব্লকটিকে জলবায়ুবিষয়ক সব রেফারেন্সের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা।
তবে এই আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা আন্দোলন করেছেন। এমনকি সোমবার ব্রাসেলসে এই আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠেছিল। এছাড়া ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের বৃহত্তম দল পিপলস পার্টি বিরোধিতা করে। তাই আইনটিকে কিছুটা দুর্বল করে সংসদে পাস করানো হয়েছে।
পরিকল্পনার অধীনে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০৩০ সাল নাগাদ স্থল ও সমুদ্র অঞ্চলের কমপক্ষে ২০ ভাগ এলাকার প্রকৃতি ও প্রাণিবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
ইইউ পরিবেশ কমিশনার ভার্জিনিউস সিনকেভিসিউস বলেন, নীতিটি ইইউর ‘জীববৈচিত্র্য, মূল্যবান বাস্তুতন্ত্র, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ মাটি ও পানি’র জন্যই শুধু নয়, কৃষকদের জন্যও একটি বড় অবদান।
ইউরোপের বাস্তুতন্ত্রকে পুনঃসংরক্ষণের জন্য এই নীতি অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
তবে আইনটি প্রথমবার ২০২২ সালে আলোচনায় আসার পর থেকে তা কট্টরপন্থীদের বাধার মুখে পড়ে। কৃষকরা এই আইনের বিরোধিতা করেন। তাদের বিরোধিতার কারণ, আইনে কীটনাশক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ এবং আরো বেশি জমি প্রকৃতির জন্য ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়। আইনের এই দুই অংশকে আপাতত শিথিল রেখেই তা পাশ করা হয়েছে।
তবে তা চূড়ান্তভাবে কার্যকর করার জন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে এখন তার অনুমোদন দিতে হবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে