নাভালনির জন্য শোক ও পুতিনের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৩
ক্রেমলিনের সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে শুক্রবার রাশিয়া ছেড়ে আসা শত শত মানুষ ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে সমবেত হয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তাদের অনেকেই বিভিন্ন শহরে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সামনে জমায়েত হয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে শ্লোগান দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা পুতিনকে ব্যানার উঁচিয়ে ‘খুনি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তারা তাকে এই অধিকারকর্মীর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান।
শুক্রবার পুতিনের সবচেয়ে বলিষ্ঠ অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত নাভালনি আর্কটিক পেনাল কলোনিতে হাঁটার পর অজ্ঞান হয়ে যান এবং মৃত্যুবরণ করেন। এই কারাগারে তিনি ৩০ বছর মেয়াদের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। কারাগার কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, বার্লিনের উনতার দেন লিনদেন বুলেভার্ডে ৫০০-৬০০ মানুষ জমায়েত হয়ে রুশ, জার্মান ও ইংরেজি ভাষার সংমিশ্রণে শ্লোগান দিয়েছেন।
লিথুয়ানিয়া আগে মস্কোর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। এই দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাশিয়া ছেড়ে আসা মানুষ বসবাস করেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা নাভালনির একটি ছবির সামনে ফুল ও মোমবাতি রাখেন।
রাশিয়ায় বিচারবিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রুশ নাগরিকদের মস্কোতে যেকোনো ধরনের গণবিক্ষোভে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি দেয়। তা স্বত্বেও কেজিবির সাবেক সদর দপ্তরে নির্যাতিত মানুষদের স্মৃতির উদ্দেশে নিবেদিত একটি স্মৃতিস্তম্ভে রুশ নাগরিকরা গোলাপ ও অন্যান্য পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় পুলিশ সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে।
মানবাধিকার সংস্থা ওভিডি-ইনফো রাশিয়ায় গণজমায়েতের স্বাধীনতা বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নাভালনির স্মৃতিকে ঘিরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে অন্তত ১০০ মানুষকে আটক করা হয়েছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এছাড়া রোম, অ্যামস্টারডাম, বার্সেলোনা, সোফিয়া, জেনেভা ও হেগসহ অন্যান্য শহরেও মানুষ সমবেত হয়।
শুক্রবার নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া মিউনিখে ছিলেন। সেখানেও একটি শোকসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি মিউনিখ নিরাপত্তা কনফারেন্সকে বলেন, তিনি তার স্বামীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত নন, কারণ, ‘পুতিন ও তার সরকার-নিরবচ্ছিন্নভাবে মিথ্যা বলতে থাকে’।
তবে তিনি বলেন, যদি এটা নিশ্চিত হয়, তাহলে তিনি বলতে চান যে- ‘তাদেরকে (এই মৃত্যুর) দায় নিতে হবে’।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা