২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিলো গ্রিস

- ছবি : ডয়চে ভেলে

গ্রিসই হলো প্রথম রক্ষণশীল খ্রিস্টান দেশ, যারা সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি দিলো। সংসদে এই বিষয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে বিলের পক্ষে ১৭৬টি ভোট পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিয়েকে আইনি বলে গণ্য করা হবে। বাচ্চাও দত্তক নেয়া যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রেইনবো ফ্যামিলিসের প্রধান স্টেলা বেলিয়া বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আজ আনন্দ করার দিন।’

প্রধানমন্ত্রী মিৎসোতাকিস বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত।’ গ্রিস হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ১৬ তম দেশ, যারা সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি দিলো।

দত্তক নেয়ার অধিকার :
এই বিলে সমলিঙ্গ দম্পতিকে সন্তান দত্তক নেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বাচ্চাদের স্কুল থেকে নিয়ে আসা, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অধিকার তাদের দেয়া হচ্ছে।’

তবে পুরুষ দম্পতিরা সারোগেসির মাধ্যমে বাচ্চা করতে পারবে না। তবে যে সব মেয়েরা স্বাস্থ্যের কারণে বাচ্চার জন্ম দিতে পারছে না, তাদের এই অধিকার থাকবে।

কারা পক্ষে ভোট দিলো?
মিৎসোতাকিসের নিউ ডেমোক্রেসি পার্টি, বামপন্থীরা এবং বিরোধী দল সইরিজা বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

বামপন্থী দল ফ্রিডম পার্টির নেতা স্পাইরস বিবিলিয়াস বলেন, ‘এই আইন সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। তবে এটা পরিবর্তনের শুরু।’ তবে দক্ষিণপন্থী দলগুলো এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ গ্রিস বিলের বিরোধিতা করেছে।’ গ্রিসের অর্থডক্স চার্চের আর্চবিশপ এই বিলের নিন্দা করেন।

পার্লামেন্টের বাইরে একদিকে যেমন রেনবো পতাকা হাতে বিলের সমর্থকরা ছিলেন, আবার বিরোধীরাও ছিলেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement