২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

এবার ধর্মঘটে নাজেহাল জার্মানির বিমানবন্দর

- ছবি : ডয়চে ভেলে

বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে জার্মানির বিমানবন্দরের কর্মীরা। এতে করে ফ্রাঙ্কফুর্ট, বার্লিন ও মিউনিখের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভয়াবহ ভোগান্তি হচ্ছে।

জার্মানির বিমানবন্দর সংস্থা এডিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জার্মানির ১১টি বড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা ধর্মঘটে। এর ফলে ১০০০টি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছে। যা ঝামেলায় ফেলেছে প্রায় দুই লাখ যাত্রীকে।

এর আগে, বুধবার রাতে কোলন-বন বিমানবন্দরের রাতের শিফটে অনুপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। তখন থেকেই ধর্মঘটের শুরু।

কর্মী ইউনিয়ন ভের্দি’র মুখপাত্র ও্যৎসে টারিম জানান, ‘কোলন-বন বিমানবন্দরে ধর্মঘটে বসেন বিমানবন্দরের একশ শতাংশ কর্মী।

টারিম বলেন, ‘সাফল্যের সাথে শুরু হলো ধর্মঘট’। দিনের প্রায় ৮০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলেও জানান তিনি।

ধর্মঘটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব যেখানে :
ভেরদি ধর্মঘটের ডাক দিলে ফ্রাঙ্কফুর্ট, হামবুর্গ, বার্লিন, ব্রেমেন, লাইপজিশ, ড্যুসেলডর্ফ, কোলন, হানোফার, স্টুটগার্ট, এরফুর্ট ও ড্রেসডেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা কর্ম বিরতিতে যান।

এ সময় বার্লিন, হামবুর্গ, হানোফার ও স্টুটগার্ট থেকে কোনো ফ্লাইট ছাড়েনি, অন্যান্য ফ্লাইট নামতেও ব্যাপক দেরি হয়। অন্যদিকে, ড্যুসেলডর্ফ বিমানবন্দরে মোট ফ্লাইটের এক-তৃতীয়াংশ বাতিল হয়।

টারিম জানান, ‘সেখানে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থা তার কর্মীদের ‘ধর্মঘট ভাঙার বোনাস’ হিসেবে দুই শ’ ইউরো দিয়েছে।

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য বাভারিয়ার মিউনিখ ও ন্যুরেমবার্গ বিমানবন্দরে ধর্মঘটের কোনো ছাপ নেই, কারণ, সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে গণ্য করা হয়।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরের পরিস্থিতি :
ফ্রাঙ্কফুর্টে জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে কোনো ফ্লাইট ছাড়েনি।

বিমানবন্দর পরিচালনা সংস্থা ফ্রাপোর্ট তাদের ওয়েবসাইটে বলে, ‘এই ধর্মঘটের কারণে গোটা দিনজুড়ে ফ্লাইট চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে। বিশেষ করে, ট্রানজিট অঞ্চলের বাইরের নিরাপত্তা যাচাই স্থানগুলো বন্ধ থাকবে।’

যাত্রীদের বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর এড়াতে অনুরোধ করা হয় ও এয়ারলাইন সংস্থাকে যোগাযোগ করে বিকল্প খোঁজার পরামর্শও দেয়া হয়।

জার্মানির মূল অ্যায়ারলাইন লুফটহানসা জানিয়েছে, ‘যাত্রীরা ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট নতুন করে বুক করতে পারবেন। পাশাপাশি, যাত্রীদের জার্মানির ভেতর যাত্রার জন্য বিনামূল্যে ট্রেনের টিকিট দেয় তারা।

ডয়চে ভেলের ক্রিস্টি প্লাডসন ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে যাত্রীদের ‘হতাশা ও ভোগান্তির’ কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ‘বিমানবন্দরের ভেতর থেকে যাত্রীদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে।’

ধর্মঘটে বসা কর্মীদের দাবি যা :
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের সংস্থা বিডিএলএস-এর সাথে একাধিক দফায় আলোচনার পর কোনো সমাধান না উঠে আসায় ধর্মঘটের ডাক দেয় কর্মী ইউনিয়ন ভেরদি।

প্রতি ঘণ্টার মজুরিকে ২ দশমিক ৮ ইউরো বাড়ানোর দাবি করছেন কর্মীরা।

বিডিএলএস-এর মুখপাত্র বলেন যে তারা এই বছরে চার শতাংশ ও আগামী বছরে তিন শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও ইউনিয়নের দাবি মানতে পারছেন না।

ডয়চে ভেলের অর্থনীতি বিষয়ক রিপোর্টার ক্রিস্টি প্লাডসনের মতে, ‘ভের্দি ও এই কর্মীরা যা দাবি করছেন তার সাথে বিমানবন্দরের কার্যক্ষমতার বিষয়টিও জড়িত। জার্মানিতে এখন বিভিন্ন খাতে শ্রমের মজুরি বাড়ানোর দাবি উঠছে। সাথে উঠছে কাজের পরিবেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গও। এটা এখন এক ধরনের নতুন ট্রেন্ড।’

এর আগে, চলতি সপ্তাহে জার্মানির ট্রেন চালকরা ধর্মঘটে বসেন, যা দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রেল ধর্মঘট ছিল। শুক্রবারে স্থানীয় পরিবহন কর্মীদেরও ধর্মঘটে বসার ডাক দিয়েছে ভেরদি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে নলকূপ থেকে পানি নেয়ায় দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি : পাকিস্তানকে ৫৯১ রুপি দিয়ে সমাধানের ভাবনা আইসিসির এবার লিভারপুলের কাছে আটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ উত্তরসূরী হিসেবে রাউহির নাম ঘোষণা করলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আইসিসি’ এশিয়া ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস পুরস্কার পেল অধিকার মারবা? পারবা না। ৩ আমেরিকানকে মুক্তি দিলো চীন আইনজীবী হত্যায় উত্তাল চট্টগ্রাম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ড. ইউনূস বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান

সকল