হাউছি আক্রমণের জেরে সাময়িক বন্ধ টেসলার কারখানা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০১
যন্ত্রাংশ পাওয়া না যাওয়ায় অ্যালন মাস্কের টেসলা জার্মানিতে ইলেকট্রিক গাড়ির কারখানা কিছুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লোহিত সাগরে হুতিরা সমানে পণ্যবাহী জাহাজের ওপর আক্রমণ করছে। ফলে জাহাজগুলো আর ওই রাস্তায় যাচ্ছে না। এর প্রভাবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বার্লিনের কাছে টেসলার গাড়ি তৈরির কারখানা।
টেসলা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, 'যন্ত্রাংশ কম থাকায় আমরা জার্মানির কারখানায় গাড়ি উৎপাদনের কাজ ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখছি।'
কোম্পানি জানিয়েছে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের এই সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে।
এই অঞ্চলে ইরানের মদতপুষ্ট হাউছি বিদ্রোহীরা একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজ আক্রমণ করেছে। গাজাতে ইসরাইলের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কাজ করবে বলে হুমকি দিয়েছে।
টেসলা বলেছে, লোহিত সাগরে এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজগুলো এখন কেপ অফ গুড হোপ দিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে টেসলার কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।
লোহিত সাগরে সঙ্কট
লোহিত সাগরে হুতির আক্রমণ শুরুর পর টেসলাই প্রথম কোম্পানি যারা কারখানা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলো। হাউছির আক্রমণের প্রভাব অনেক কারখানার উপরেই পড়ছে। চীনের অন্যতম বড় গাড়ির কারখানা এবং সুইডেনের হোম ফার্নিশিং কারখানা গ্রাহকদের জানিয়েছে, তাদের কাছে জিনিস পৌঁছাতে দেরি হবে।
বিশ্বের বড় শিপিং কোম্পানিগুলো এখন সুয়েজ খাল ব্যবহার করছে না। এই রাস্তা দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ জাহাজ চলাচল করে।
প্রায় সব বড় শিপিং কোম্পানি কেপ এফ গুড হোপ দিয়ে তাদের জাহাজ পাঠাচ্ছে। এর ফলে শুধু যে ১০ দিন বেশি সময় লাগছে তাই নয়, এতে খরচও হচ্ছে অনেক বেশি। এশিয়া থেকে ইউরোপ যেতে নয় লাখ ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত জ্বালানি লাগছে।
টেসলা জানিয়েছে, এর ফলে সরবরাহ চক্র ভেঙে গেছে। ২০২২ সালের মে মাস থেকে বর্লিনের কাছের কারখানায় উৎপাদন শুরু করে টেসলা। সেখানে ১১ হাজার পাঁচ শ' কর্মী কাজ করে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে