রাশিয়া জয়ের অবাস্তব স্বপ্ন দেখছে : জেলেনস্কি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বেহাল অবস্থার দাবি করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখনো সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে এখনো রুশ হামলার আশঙ্কায় রয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার প্রায় দু’বছর পরেও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কোনো পক্ষই যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন সাফল্যের মুখ দেখছে না। সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে আকাশ থেকে আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বন্ধ করার বদলে বরং আরো জোরদার করার ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ার বেলগোরোদ শহরের ওপর ইউক্রেনের জোরাল হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হওয়ার পর পুতিন এই অঙ্গীকার করেন।
এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও জেলেনস্কি দমে যেতে প্রস্তুত নন। তার মতে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির মুখ দেখছে।
‘ইকোনমিস্ট’ পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আভদিভকা শহরের কাছে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে হাজার হাজার রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। এমনকি তাদের লাশও উদ্ধার করা হয়নি।
জেলেনস্কি গত সপ্তাহে ইউক্রেনের পূর্বে ওই যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। তার মতে, রাশিয়া জয়ের যে স্বপ্ন দেখছে বাস্তবের সাথে ওই ধারণার কোনো মিল নেই। তিনি মস্কোর সাথে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন।
জেলেনস্কি জানান, একমাত্র সেনাবাহিনী গুছিয়ে নেয়ার প্রয়োজন হলে তবেই রাশিয়া যুদ্ধবিরতির কথা বলতে রাজি হবে।
রাশিয়ার হাত থেকে অধিকৃত এলাকা উদ্ধার করতে ইউক্রেন গত বছর যে পাল্টা আক্রমণ অভিযান চালিয়েছে, তার আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি বলে জেলেনস্কি স্বীকার করেন। তবে তার মতে, প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো যথেষ্ট দ্রুত সাফল্য আসেনি। অন্যদিকে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার অবরোধ ভেঙে ইউক্রেনের বাহিনী খাদ্যশস্য রফতানি আবার সম্ভব করে বড়- সাফল্য দেখিয়েছে বলে জেলেনস্কি দাবি করেন।
মঙ্গলবারও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পুরো দেশে আকাশপথে হামলা সম্পর্কে সতর্কতার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু ড্রোন নয়, আরো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রথমে ১৬টি, তারপর ২০টি রুশ বোমারু বিমান আকাশে টহল দিচ্ছে বলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানী কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন হামলাও অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে