২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্রাইমিয়ায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ক্রাইমিয়ায় ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্রাইমিয়ার সেভাস্তোপোল বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার এ হামলা চালায়। রাশিয়াও ইউক্রেনের নদী বন্দরে হামলা চালিয়েছে।

তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের কোনো সাফল্য দেখছেন না।

ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের স্থাপনার ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোল বন্দরে জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রের ওপর বুধবার ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছে। শহরের রাশিয়া নিযুক্ত গভর্নর টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছেন, সব জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে কাজ করছে। শহরের বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ এই শহরে রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের জাহাজ ও ডুবোজাহাজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

ইউক্রেন এ হামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা অবশ্য রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এমন পদক্ষেপ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা সামরিক অভিযানে সাহায্য করে বলে ইউক্রেন মনে করে।

রাশিয়াও ইউক্রেনের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষ্ণ সাগর উপকূলের বন্দরগুলোর বিকল্প হিসেবে ইউক্রেন নদীপথে খাদ্যশস্য রফতানির যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তার প্রচেষ্টা বিফল করতে মস্কো ইউক্রেনের নদী বন্দরগুলোর ওপর হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।

দানিয়ুব নদীর তীরে ইদমাইল বন্দরে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ও বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছে বলে বুধবার আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন। এছাড়া ওডেসা ও মিকোলাইভ অঞ্চলেও রাশিয়া হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর বুধবার টেলিগ্রাম চ্যানেলে নতুন হামলার কথা জানিয়েছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, গত প্রায় তিন মাস ধরে ইউক্রেনের পাল্টা সামরিক অভিযানে কোনো সাফল্য আসেনি। ভ্লাদিভোস্তক শহরে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেন যতদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, রাশিয়া ততদিন সামরিক অভিযান বন্ধ করবে না।

ইউক্রেন সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে বলে দাবি করছে। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ওলেক্সান্ডার সোমবার বলেন, স্থলবাহানী দিনে ৫০ থেকে ২০০ মিটার পুনর্দখল করছে। সৈন্যদের নিরাপত্তার খাতিরে সেনাবাহিনী আরো দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে না।

তার মতে, কাউন্টারঅফেনসিভ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন প্রায় ২৫৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে।

সামরিক বাহিনীর অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে রোবোতিনে শহরের কাছে বিশেষ সাফল্য পাওয়া গেছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement