২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ মাঘ ১৪৩১, ২২ রজব ১৪৪৬
`

উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সতর্কতা’ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার

উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সতর্কতা’ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার - সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন তার ব্যক্তিগত ট্রেনে করে মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ায় প্রবেশ করেছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র সহযোগিতার বিষয়টি ‘সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলেছে’ এবং তার এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, অস্ত্র বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের হুঁশিয়ারির বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার।

মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পেসকভ রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলিকে উদ্ধৃত করে বলেন, আপনারা জানেন, উত্তর কোরিয়াসহ আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক আমাদের নিজস্ব বিষয়। এখানে দুই দেশের স্বার্থ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, ওয়াশিংটনের সতর্কতা নয়।

এদিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক কার্নেগি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্য অঙ্কিত পান্ডে বলেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া প্রত্যেকের এমন কিছু জিনিসপত্র রয়েছে যা অন্যান্য দেশও চায়।

তিনি বিবিসিকে বলেন, এখন যেটি দেখার বিষয় হবে সেটি হচ্ছে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে তারা নিজেদের সুবিধাজনক কোনো মূল্য খুঁজে পায় কিনা।

রাশিয়া হয়তো উত্তর কোরিয়ার কাছে খাবার এবং কাঁচামালের বিনিময়ে আর্টিলারি শেল এবং রকেট আর্টিলারির মতো প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্রই চাইবে। একই সাথে তারা জাতিসঙ্ঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

‘এর মাধ্যমে রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র স্থানান্তর করার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে যাতে করে মস্কো তার নিজের প্রচলিত অস্ত্রের মজুদ আবার পূরণ করে তা ধরে রাখতে পারে।’

ধারণা করা হয় যে- রাশিয়ার হয়তো ১২২এমএম এবং ১৫২এমএম কার্তুজ দরকার কারণ তাদের মজুদ শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু গোপনীয়তার স্বভাবের কারণে উত্তর কোরিয়ার কাছে কী পরিমাণ অস্ত্র মজুদ রয়েছে তা অনুমান করা সহজ নয়।

কিম এবং শোইগুর মধ্যে বৈঠকের সময়ে যেসব অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে হয়াসাং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যা দেশটির প্রথম আইসিবিএম অস্ত্র যাতে তরল বা গ্যাসের পরিবর্তে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে।

সেটাই ছিল কোভিড মহামারীর পর বিদেশী অতিথিদের জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রথম দ্বার খোলার ঘটনা।
সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি বেরোবিতে পরীক্ষা না দিয়েও ছাত্রলীগ নেত্রী পাস : তদন্ত কমিটি গঠন উত্তর কোরিয়ার সাথে ট্রাম্পের আলোচনার ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি এ কে এস খান ফার্মাতে ডেনমার্কের ১২.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ উপায় না পেয়ে স্বজনদের আশ্রয়ে আছে শহিদ মিজানের পরিবার প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে পতন হাতিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই ১৪ দোকান আজ মুক্তি পাচ্ছেন দেড় শতাধিক বিডিআর সদস্য দেবীগঞ্জে বৃষ্টির মতো পড়ছে শিশির বিন্দু গাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ শতাধিক লাশ উদ্ধার

সকল