হিজাবের পক্ষে সুন্দর যুক্তি তুলে ধরলেন সার্বিয়ার প্রথম হিজাবি এমপি
- সার্বিয়ায় প্রথম হিজাবি এমপি
- ০৮ আগস্ট ২০২০, ০৬:৪০, আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২০, ০৭:০৭
সার্বিয়ায় এই প্রথম কোনো হিজাব পরিহিতা এমপি পার্লামেন্টে প্রবেশ করলেন। স্বভাবতই তার হাত ধরে দেশটিতে নতুন ইতিহাস রচিত হলো। এমনিতে ড. মিসালা প্রামেনকোভিক পেশায় অধ্যাপক। গাজি ঈশা বেগ মাদ্রাসা ইউনিভার্সিটির ইসলামিক সায়েন্স বিষয়ে অধ্যাপনা করেন তিনি। তার কথায়, হিজবা পরলে কারো যোগ্যতা বা দক্ষতা কমে যায় না। হিজাব অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা নয়। তাই হিজাব পরা কোনো মুসলিম নারী সম্পর্কে সমালোচনা করতে হলে হিজাবের ইতিবাচক দিকগুলো জানতে হবে।
তিনি এও বলেন, মুসলিম ছাড়াও খ্রিস্টান নান বা সন্ন্যাসিনীরা মাথা ঢাকেন বা মাথায় স্কার্ফ পরেন। এ ছাড়াও জৈন, শিখ,পারসি এমনকী হিন্দুদেরও একাংশ মাথা ঢেকে রাখেন। যাতে পরপুরুষরা তাদের মুখমণ্ডল দেখতে না পান। যারা হিজাবের বিরুদ্ধে অভিমত ব্যক্ত করেন, তাদের সম্পর্কে মিসালা বলেন, এটা আসলে এক ধরনের বিদ্বেষী মানসিকতার বহির্প্রকাশ। তিনি এও বলেন, স্বচ্ছ ও উদার মানসিকতা না থাকায় আগে থেকেই এক ধরনের বদ্ধমূল ধারণা মনের মধ্যে বাসা বেঁধে থাকে। এই ভ্রান্ত ধারণা থেকেই অজ্ঞতার জন্ম নেয়।
এত সমালোচনা এবং তীর্যক প্রতিক্রিয়ার পর পার্লামেন্টে তিনি নিজেকে কীভাবে প্রকাশ করবেন। এ প্রশ্নের জবাবে ড. মিসালা প্রামেনকোভিক বলেন, আমি আমার বক্তব্য এবং কাজের মধ্য দিয়েই সব সমালোচনা ভুল প্রমাণ করে দেব ইনশাআল্লাহ্। তবে তিনি এ কথাও বলেন যে, এমপি হিসেবে তার কাজের অগ্রাধিকার হবে শিশু– নারী এবং পারিবারিক মূল্যবোধ।
উল্লেখ্য, এর আগে এক বসনীয় মুসলিম নারী নির্বাচনে জয়ী হয়ে সার্বিয়ার পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিলেন। ইসলাম অনুসারী জাস্টিস অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন পার্টির টিকিটে জিতেছেন ড. মিসালা। এই দল থেকে এবার মোট ৫ জন জয়ী হয়েছেন। মিসালার জন্ম ১৯৮০ সালে। ২০১৬ সালে তিনি বেলগ্রেড পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ইউরোপের দেশ সার্বিয়ায় ৯২ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ৩.২ শতাংশ মুসলিম। জনসংখ্যা ৯০ লক্ষ।
সূত্র : পূবের কলম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা