রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন উদ্বোধন
- ০২ মে ২০১৯, ০৬:৪২
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মঙ্গলবার টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি সাবমেরিন উদ্বোধন করেছেন। গত মঙ্গলবার বেলগোরড নামক সাবমেরিনটি রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সেভমাস প্লান্ট থেকে চালু করা হয়।
মস্কো জানিয়েছে, এ সাবমেরিনটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এবং এটি আটটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এটি কোনো উপকূলীয় শহরকে উড়িয়ে দিতে পারবে। বেলগোরডের নির্মাণ কাজ শেষ হবে সাগরে। এটি মস্কোর সর্বশেষ সুপার অস্ত্র বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রাশিয়ার সর্বশেষ আবিষ্কার করা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম সুপার ড্রোন সুনামি তৈরি করতে পারবে বলে দাবি মস্কোর।
কাজ শেষ হলেই সাবমেরিনটি চালু করা হবে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস প্রতিরক্ষা দফতরের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে সাবমেরিনটি চালু করা হবে এবং এ বছরের পরে পারমাণবিক চুল্লির পরীক্ষা করা হবে।
পুতিন গত বছর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অন্যান্য অস্ত্রের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে অকেজো করে দেবে।
ড্রোনগুলো টর্পেডোর মতো একই আকৃতিতে নির্মাণ হয়। তবে প্রচলিত অস্ত্রগুলো থেকে এটি অনেক বড়। এটি ৭২ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ। এগুলো সাবমেরিন দ্বারা বহন করা হবে। একবার চালু হওয়ার পরে এই অস্ত্রকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর গতি বিভিন্ন রকম। এর গতি ন্যূনতম ৭০ এমপিএইচ ও উচ্চে ১২৪ এমপিইচের মধ্যে হলে বন্ধ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
সাবমেরিন বেলগোরডের অস্ত্রগুলো স্যান স্ক্যানিং নামে পরিচিত একটি সোনার ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে সমুদ্রের তলের ছবি নেয়ার জন্য এক মাইলের নিচে অপারেটিং করতে সক্ষম। এটি আনম্যান্ড আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল (ইউইউভিএস) হিসাবেও কাজ করতে পারে। অবশ্য সংঘর্ষের সময় ইউইউভিএস সমুদ্রের নিচে ইন্টারনেট তারের জন্য অন্তর্ঘাত তৈরিতে মোতায়েন করা যেতে পারে।
দৈতাকৃতির এই সাবমেরিনটির নিচে একটি ডক রয়েছে যেখানে ১৮০ ফুটের ছোট আর একটি সাবমেরিন রয়েছে। এটিকে ২৫ জন মানুষকে গবেষণা, উদ্ধার ও বিশেষ সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
সাবমেরিনের কমান্ডার সরাসরি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রিপোর্ট করবেন। সাবমেরিন বেলগোরড আর্কটিক ও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সাবমেরিন কার্যক্রম আগের চেয়ে দশ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা