২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আলোচনায় প্রতিনিধি দল নিয়োগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আলোচনায় প্রতিনিধি দল নিয়োগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে সৌদি আরবে বৈঠক শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে এই বৈঠকে ইউক্রেন বা ইউরোপীয় কোনো দেশকে ডাকা হয়নি।

কিভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হতে পারে, সে নিয়ে আরো আলোচনা করতে প্রতিনিধি দল মনোনয়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। পরবর্তী ধাপের আলোচনায় ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনরায় চালু করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, লম্বা ও কঠিন এক যাত্রাপথের এটা প্রথম পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে টেলিফোন করেছিলেন, তার ধারাবাহিকতায় এই বৈঠক হয়েছে।

রুবিও বলছেন যে তিনি উপলদ্ধি করতে পেরেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির কঠিন কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহী রাশিয়া। আবার দুই দেশে রাষ্ট্রদূতদের কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ইউক্রেনকে কেন এই আলোচনা থেকে বাদ রাখা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, কাউকে সাইডলাইনে রাখা হয়নি। পরবর্তীতে ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এই আলোচনায় যুক্ত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যেকোনো সঙ্ঘাত থামাতে সব পক্ষ থেকেই কিছুটা ছাড় দিতে হবে।

অন্যদিকে তার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, আলোচনায় তিনটি প্রধান বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরস্পরের দেশে আবার রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ, ইউক্রেন বিষয়ে সমাধান করতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিনিধি নিয়োগ করার পর রাশিয়াও প্রতিনিধিদের নিয়োগ দেবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা হবে।

সেই সাথে তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভূক্ত করার মানে হলো রাশিয়ার জন্য সরাসরি হুমকি। অন্য যেকোনো দেশের পতাকা নিয়ে সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতিও কিছু বদলাতে পারবে না। এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য,’ তিনি বলেছেন।

যখন এই বৈঠক চলছে, তখন তুরস্ক সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি।

সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, তাদের নিয়ে যেকোনো শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্তি থাকা উচিত। সেই সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক ও যুক্তরাজ্যেরও অংশ থাকা উচিত। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো শান্তি প্রস্তাব তারা গ্রহণ করবে না।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা সব কিছু ন্যায্যভাবে চাই…আমাদের পেছনে কেউ আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’

তার এই সংবাদ সম্মেলনের সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরবর্তী ধাপের আলোচনায় তুরস্ক স্বাগতিক দেশ হতে পারে। তবে বলেছেন, ইউক্রেনের অখণ্ডতা সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোনোরকম বিতর্কের সুযোগ নেই।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement