৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

সুইডেনে কোরআন পোড়ানো ব্যক্তিকে হত্যা, গ্রেফতার ৫

সুইডিশ পুলিশ গুলিবর্ষণের তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে - ছবি : সংগৃহীত

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানো এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার দায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানায় সুইডেন পুলিশ।

২০২৩ সালে তার কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।

সুইডেনের পুলিশ জানায়, ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকাকে লক্ষ্য করে বুধবার গুলি চালানোর দায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি বেশ কয়েকবার কোরআন পুড়িয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।

সালওয়ান মোমিকার স্টকহোমের জেলা আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। তার বিরুদ্ধে করা একটি জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর মামলার রায় ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল।

পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘরের মধ্যে তাকে গুলি করা হয়েছিল। পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর পর তার গুলিবিদ্ধ দেহ দেখতে পায় এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মোমিকাকে গুলি করার সাথে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পুলিশ রাতের মধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রসিকিউটররা তাদের আটক করেছেন।

প্রসিকিউটর রাসমুস ওমান ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখনো তদন্তের খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

সুইডেনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় টিকটকে লাইভস্ট্রিম করছিলেন মোমিকা।

৩৮ বছর বয়সি ইরাকি খ্রিষ্টান সালওয়াম মোমিকা একাধিকবার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়েছিলেন।

মোমিকা এবং তার ‘সহ-প্রতিবাদকারী' সালওয়ান নাজিমের বিরুদ্ধে গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে চারবার একটি জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়।

চার্জশিটে বলা হয়, তিনি কোরআনে আগুন দেয়াসহ একাধিকবার ধর্মগ্রন্থটির অবমাননা করেছেন। এসব করার সময় মুসলমানদের জন্য মর্যাদাহানিকর নানা মন্তব্যও করেছেন তিনি। একবার স্টকহোম মসজিদের সামনে প্রতিবাদের আয়োজন করেন মোমিকা।

সালওয়ান মোমিকা-সালওয়ান নাজিম জুটির কোরআন পোড়ানোর আয়োজনকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাথে সুইডেনের সম্পর্ক ক্ষুন্ন হয়।

সুইডেন পুলিশ বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দিলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করে।

কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে দু’বার বাগদাদের সুইডেন দূতাবাসে হামলা চালায় প্রতিবাদকারীরা। দ্বিতীয়বার হামলার সময় সেখানে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছিল।

গত মার্চে নরওয়েতে আশ্রয় চেয়েছিলেন মোমিকা। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ রাখার পর নরওয়ে আবার তাকে সুইডেনে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement