২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৮ রজব ১৪৪৬
`

নির্বাচনে জিতে লুকাশেঙ্কো বললেন, ‘পশ্চিমাদের পাত্তা দিই না'

আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো - ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র বেলারুশে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। বেশ কিছু পাশ্চাত্য রাষ্ট্র অবশ্য মনে করে এ নির্বাচন মোটেই ভালো হয়নি।

৩১ বছর ধরে চলা শাসনের সময়কালকে সোমবার আরো দীর্ঘায়িত করলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। নির্বাচনের ব্যালট পেপারে নাম ছিল আরো চার প্রার্থীর। কিন্তু তারা কেউই লুকাশেঙ্কোর ভোটে এতটুকু আঁচড়ও বসাতে পারেননি।

প্রাথমিক গণনা বলছে, ৮৬.৮ শতাংশ ভোটই পেয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

এই নির্বাচন মুক্তভাবে আয়োজিত হয়নি বলে অভিযোগ ইউরোপের রাজনীতিকদের। সাথে বেলারুশে স্বতন্ত্র গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করে রাখা ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দেশ থেকে বের করে দেয়া বা কারারুদ্ধ রাখার কারণেও নির্বাচনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলো।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি টুইট করে বলেন, ‘বেলারুশের মানুষের কাছে কোনো উপায় ছিল না। যারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র চান, তাদের জন্য আজ খুবই তিক্ত দিন।’

নির্বাসনে থাকা বেলারুশের বিরোধী রাজনীতিক সিখানুস্কায়া বেলারুশের সংস্থা ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরো জোরদার করতে বলেন। বিশেষ করে সেই সব সংস্থা ও ব্যক্তিদের কথা বলেন তিনি, যারা লুকাশেঙ্কোর যথেষ্ট বিরোধিতা করে না বা ইউক্রেনে রাশিয়াকে যুদ্ধ চালাতে অস্ত্র পাঠিয়ে সহায়তা করে।

‘পশ্চিমা বিশ্বকে পাত্তাই দিই না’
বিরোধীদের কারাবাসে থাকা প্রসঙ্গে রোববকার লুকাশেঙ্কো বলেন যে- তারা নিজেরাই ‘বেছে নিয়েছেন' এমন পরিণতি। দেশে তথথাকথিত চরমপন্থী কার্যকলাপের জন্য দোষী সাব্যস্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত তিনি নেন, তা মোটেই পশ্চিমা বিশ্বের জন্য কোনো বার্তা ছিল না বলেও জানান তিনি।

চার ঘণ্টা ধরে চলা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি পশ্চিমা বিশ্বকে একটুও পাত্তা দিই না। পশ্চিমের সাথে সম্পর্কে আমি সব সময় প্রস্তুত, কখনো অস্বীকার করিনি। কিন্তু আপনারা সেটা চান না। তো আমরা কী করবো? হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকবো?'
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement