ট্রাম্পের সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন চান জেলেনস্কি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩
ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধের তিন বছর যখন পূরণ হচ্ছে, তখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তার দেশের আশার কথা জোর দিয়ে বলেছেন।
এ সপ্তাহে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারসতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার মনে হয় গোটা বিশ্বই অপেক্ষা করছে। কারণ বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি কৌশলগত সহযোগী রাষ্ট্র।’
জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ’রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অস্তিত্বের জন্য সব চেয়ে বড় দাতা দেশ’ বলে বর্ণনা করেন এবং ’শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ এ নীতির ভিত্তিতে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সম্ভাব্য বৈঠকের জন্য তার সরকার ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটনের সাথে যোগাযোগ করেছে।
তিনি বলেন, ’এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিস্তারিত ব্যাপারে আমাদের দল কাজ করছে। আমরা এই যুদ্ধ শেষ করতে চাই। তবে যথার্থ শান্তির শর্তে।’
শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের মূল বিষয়টি হবে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন রোধে শক্ত ও সামগ্রিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা অর্জন করা।
ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সামরিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে ট্রাম্প সংশয় প্রকাশ করে বার বার এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে তিনি ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করার আগেই যুদ্ধ শেষ করবেন। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তার সহকারীরা বলেছেন যুদ্ধ শেষ করার নতুন সময়সীমা তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ এপ্রিলের শেষ নাগাদ হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী পদে ট্রাম্পের মনোনীত মার্কো রুবিও বুধবার তার পদের নিশ্চিতকরণ শুনানির সময়ে বলেন, ‘সংঘাত বন্ধ হয়ে গেলেও নিজের প্রতিরক্ষার ক্ষমতা তাকে অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন, এটি হচ্ছে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বিষয়।
ওয়ারসতে জেলেনস্কির পাশে দাড়িয়ে টাস্ক বলেন, ইউক্রেনের সর্বোত্তম নিরাপত্তা নিশ্চয়তা হচ্ছে ইউরো-অ্যাটলান্টিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সদস্যপদ লাভ।
তবে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার চিন্তাটি কোনো কোনো রাষ্ট্রের কাছে বিতর্কিত বিষয় হয়ে আছে। ফলে পশ্চিমা জোটের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে ইউরোপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ইউক্রেনকে বাস্তবসম্মত নিরাপত্তা দিতে হবে।’
সূত্র : ভিওএ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা