ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ব্যাপক হতাহতের সম্মুখীন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭, আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সীমান্ত বরাবর উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ব্যাপক হতাহতের মুখোমুখি হয়েছে। গত সপ্তাহে একমাত্র রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলেই তাদের এক হাজারের মতো সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা ও যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কার্বি সংবাদদাতাদের বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সামরিক নেতারা তাদের সৈন্যদের কথা চিন্তা না করেই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার বিরুদ্ধে অনর্থক আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন।’
কার্বি আরো বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য আরো সহায়তা অনুমোদন করতে পারেন।’
স্লোভাকিয়া ইতোমধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধ সমাপ্তির লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা আয়োজনে তাদের প্রস্তুতির কথা শুক্রবারে নিশ্চিত করেছে।
ইউক্রেনের সাথে শান্তি আলোচনা আয়োজনে স্লোভাকিয়ার প্রস্তাবের ব্যাপারে রাশিয়ার কোনো আপত্তি নেই বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে স্লোভাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুরাজ ব্ল্যানার লেখেন, ‘আপোষহীন আলোচনার জন্য আমরা স্লোভাক ভূমি ব্যবহারের প্রস্তাব দিচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, যে কোনো আলোচনায় রাশিয়াসহ সকল পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের আলোচনায় রুশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন না।
ব্ল্যানার বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিবৃতিকে আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছি।’ তিনি বলেন, ‘স্লোভাকিয়া অক্টোবর মাসে ইউক্রেনকে জানিয়েছে যে তারা এই শান্তি আলোচনা আয়োজনে প্রস্তুত।’
স্লোভাকিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর একটি সদস্য দেশ।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো মুষ্টিমেয় ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে একজন যিনি মস্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তিনি ২২ ডিসেম্বর মস্কোতে পুতিনের সাথে বৈঠক করায় ইউক্রেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
ফিকো ইউক্রেনকে স্লোভাকিয়ার সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেন। একই সাথে স্লোভাকিয়ায় রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারে হুমকি প্রদানের জন্য তিনি ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করেন।
এদিকে শুক্রবার ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায় যে রাতে নিক্ষিপ্ত রাশিয়ার ২৪টি ড্রোনের মধ্যে ১৩টিকেই তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে। তবে অবশিষ্ট ১১টি রুশ ড্রোন কোনো রকম ক্ষতি না করেই ‘হারিয়ে’ যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রের হালনাগাদ অবস্থা জানতে এবং যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন প্রদানের বিষয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঁদ্রি সিবিহার সাথে কথা বলেছেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনের জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল সমর্থনের কথা আবার ব্যক্ত করেছেন।’
ইউক্রেনের দু’টি পূ্র্বাঞ্চলীয় গ্রাম- ডনেটস্ক অঞ্চলের ইভানিভকা এবং খারকিভ অঞ্চলের ঝারিজোভের নিয়ন্ত্রণ রুশ বাহিনী গ্রহণ করেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে ভয়েস অফ আমেরিকা রাশিয়ার এই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
সূত্র : ভিওএ