ক্রিসমাস মার্কেট হামলার সন্দেহভাজনকারী সম্পর্কে আগেই সতর্কবার্তা পায় জার্মানি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৯
জার্মান কর্তৃপক্ষ ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলায় সন্দেহভাজন অপরাধী সম্পর্কে গত বছর একটি সতর্কবার্তা পেয়েছিল।
রোববার জার্মান সরকারের অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক ফেডারেল অফিস এ তথ্য জানায়।
গত বছরের গ্রীষ্মের শেষের দিকে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানায়, অন্য অনেক তথ্যের মতোই এই তথ্যকেও গুরুত্ব সহকারে নেয়া হয়েছিল।
ফেডারেল অফিস আরো জানায়, তারা কোনো তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ নয়। এসব ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, সেই অনুযায়ী তথ্যটি তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
তবে তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা সতর্কতার প্রকৃতি সম্পর্কে অন্য কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।
জার্মানির ম্যাগডেবার্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্রিসমাস মার্কেটে এ গাড়ি হামলা হয়। হামলায় নিহত পাঁচজনের বিষয়ে আরো বিশদ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ রোববার বলেছে, যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৪৫, ৫২, ৬৭ ও ৭৫ বছর বয়সী চারজন নারীসহ নয় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আরো ২০০ জনের আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে ম্যাগডেবার্গের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ম্যাগডেবার্গ শহরটি বার্লিন থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে।
কর্তৃপক্ষ ম্যাগডেবার্গ হামলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে এক সৌদি চিকিৎসককে চিহ্নিত করেছে। তিনি ২০০৬ সালে জার্মানিতে আসেন। পরে তিনি স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা লাভ করেন।
সন্দেহভাজনকে শনিবার সন্ধ্যায় আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে অভিযোগ গঠনের আগ পর্যন্ত হেফাজতে রাখা হবে।
পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি। তবে বেশ কয়েকটি জার্মান সংবাদমাধ্যম তার নাম ‘তালেব এ’ বলে উল্লেখ করেছে।
গোপনীয়তা আইন অনুসারে, তার পদবী গোপন রাখা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে জানা গেছে, পেশায় তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি এক্সের সক্রিয় ব্যবহারকারী। সেখানে তিনি নিজেকে একজন সাবেক মুসলিম
হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রতিদিন ইসলামবিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে কয়েক ডজন টুইট ও রিটুইট শেয়ার করে ধর্মের সমালোচনা করতেন এবং ধর্ম ত্যাগ করা মুসলমানদের অভিনন্দন জানাতেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, জার্মান কর্তৃপক্ষ ইউরোপের ‘ইসলামীকরণ’ রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি জার্মানির অ্যান্টি-ইমিগ্রেশন অল্টারনেটিভ পার্টির সমর্থক ছিলেন বলে জানা যায়।
এ ঘটনা জার্মানিতে যে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে, তাতে ২৩ ফেব্রুয়ারির আসন্ন নির্বাচনে অভিবাসন সমস্যাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আলোচিত হবে।
সূত্র : ভিওএ