৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইউক্রেন আগামী সপ্তাহেই ন্যাটোর সদস্যতার আমন্ত্রণ চায়

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহা - ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে সিবিহা ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলস-এ অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটোর বৈঠকে কিয়েভকে সেই পাশ্চাত্য সামরিক জোটে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বলে একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ চিঠিটি দেখেছে।

২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে যে যুদ্ধের সূচনা হয় তার পরিসমাপ্তির জন্য গত মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির রূপরেখায় যে ‘বিজয় পরিকল্পনা’ কথা ছিল, তারই অংশ হচ্ছে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার জন্যে আমন্ত্রণ করতে এ চিঠিতে নতুন করে ইউক্রেনের চাপ।

ইউক্রেন বলছে, ‍যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা যে ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না সে কথা তারা বুঝে কিন্তু এখনই আমন্ত্রণ জানালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুঝতে পারবেন যে তিনি তার অন্যতম মূল লক্ষ্য-কিয়েভকে ন্যাটোর সদস্যপদ থেকে বিরত রাখা-সেটি অর্জন করতে পারবেন না।

সিবিহা বলেন, ‘এই আমন্ত্রণকে উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে দেখা উচিত হবে না।’

তিনি লেখেন, ‘বরঞ্চ পরিস্কারভাবে এটা বোঝা দরকার যে ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যতা অনিবার্য। এই অযৌক্তিক যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়া তার প্রধান যুক্তিগুলোর একটি হারাবে। আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ৩ ও ৪ ডিসেম্বরের ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফলাফল হিসেবে এই জোটে যোগ দিতে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করতে।’

ন্যাটোর কূটনীতিকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে জোট সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়নি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ন্যাটোর ৩২টি দেশের সবার সম্মতির প্রয়োজন পড়বে।

ন্যাটো ঘোষণা করেছে যে ইউক্রেন জোটে যোগ দিবে এবং সেটার কোনো হেরফের হবে না। তবে তারা কোনো আনুষ্ঠনিক আমন্ত্রণপত্র পাঠায়নি এবং এজন্য কোনো সময়সীমাও নির্ধারিত করেনি।

ন্যাটোবিষয়ক ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশিনা বলেন, কিয়েভ বুঝতে পারছে যে ন্যাটোতে যোগ দিতে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোনো ঐকমত্য হয়নি কিন্তু এ চিঠিটি পাঠনো হয়েছে কড়া রাজনৈতিক ইঙ্গিত হিসেবে।

তার চিঠিতে সিবিহা যুক্তি দেখান, ‘রাশিয়া যে যুদ্ধ শুরু করেছিল তা অব্যাহতভাবে সে যে বাড়িয়ে চলেছে এবং তার সর্বসাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার সৈন্যকে সম্পৃক্ত করা এবং নতুন অস্ত্র প্রয়োগের জন্য ইউক্রেনকে পরীক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করা’ তারই যথার্থ জবাব হবে এ আমন্ত্রণ।’

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কূটনীতিকরা বলছেন যে তারা ন্যাটো দেশগুলোর মধ্যে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন দেখছেন না, বিশেষত এ জোটের প্রভাবশালী শক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিষয়ে, ঠিক যখন তারা নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের দিকে চেয়ে আছেন।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement