১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইউক্রেন নিয়ে জি-২০ সম্মেলনে মত-বিরোধ

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি - ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের মেয়াদের মাত্র দু’মাস বাকি থাকতে যুক্তরাষ্ট্র রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কিয়েভের জন্য আর্থিক, সামরিক এবং কূটনৈতিক সাহায্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফাইনার জানান, ব্রাজিলের রিও ডি জেনেয়রোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাইডেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনীতির নেতারা বৈঠক করছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইউক্রেন সম্পর্কে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছে।

সপ্তাহান্তে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমান হামলার পর পশ্চিমা কূটনীতিকরা মস্কোর আরো জোরালো নিন্দা জানানোর চেষ্টা পুনরায় শুরু করেছে।

তারা আরো হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, রাশিয়ার বর্ধিত যুদ্ধ প্রচেষ্টা ইউরোপের বাইরেও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এই মাসের আগের দিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন ঘোষণা দেয় যে, রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের দখল করা এলাকা পুনরুদ্ধার করার জন্য মস্কোকে সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া ১০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে।

নেতাদের চূড়ান্ত যৌথ বিবৃতি নিয়ে এখনো দর কষাকষি চলছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী আন্তর্জাতিক রেডিও এবং টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং সার্ভিস ভিওএ বিবৃতির যে খসড়া দেখেছে এবং সমাজিক মাধ্যমে উড়ে বেড়ানো কপি দেখে মনে হচ্ছে, সেখানে শুধুমাত্র মোটা দাগে জাতিসঙ্ঘের নীতিমালা এবং ইউক্রেন আর গাজায় শান্তি কামনা করে বক্তব্য থাকবে।

ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি
ফাইনার স্বীকার করেন যে, জি-২০-তে যেহেতু বহুমতের সংমিশ্রণ আছে, তাই বৈশ্বিক সংঘাতের ক্ষেত্রে ঐকমত্য খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ হবে। এখানে জি-৭ অন্তর্ভুক্ত দেশ, যাদের মধ্যে মতের মিল আছে, ছাড়াও রয়েছে রাশিয়া, চীন এবং উন্নয়নশীল বিশ্ব বা ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর দেশ।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।’

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কয়েক মাস আগে বালিতে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের শীর্ষ সম্মেলনের পর থেকে জি-২০ সংঘাত সম্পর্কে বিবৃতি তৈরি করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকার সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহার করার জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছে। এই তথ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে।

ফাইনার তথ্যটি নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানান, তবে তিনি বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র বাস্তবতার নিরিখে তার পদক্ষেপ নির্ধারণ করে, যাতে ‘ইউক্রেন তার ভূমি এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে চলতে পারে।’

সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যদি সত্য হয়, তাহলে কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা করার অনুমতি ‘ইউক্রেন সংঘাতে ওয়াশিংটনের অংশগ্রহণে নতুন গুনগত মান’ সৃষ্টি করবে।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement