ইউক্রেনকে আরো সহায়তা দিতে ব্লিংকেনের প্রতিশ্রুতি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২১
ইউক্রেনকে আরো সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
বুধবার ইউক্রেন ও ন্যাটো মিত্রদের এক বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেছেন, জানুয়ারি মাসে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তার এই চূড়ান্ত সময়ে ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একইসাথে রাশিয়া যে সম্ভবত পারমাণবিক সক্ষমতাসহ উত্তর কোরিয়া সক্ষমতা বাড়াচ্ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতা প্রকাশ করেছে।
বুধবার ন্যাটো সদর দফতরে ব্লিংকেন সংবাদদাতাদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়টি নিশ্চত হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আমাদের আওতায় প্রতিটি ডলার আজ এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে পাঠানো হবে।’
তিনি আলো বলেন, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে প্রয়োজন অনুযায়ী ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অস্ত্রসজ্জিত যানবাহন যেন থাকে।’
ব্লিংকেন জানান, তিনি আশা করেন যে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সহায়তা বৃদ্ধি পাবে এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ওয়াশিংটনের সহযোগিরা যেন তাদের ভাগের কাজের চেয়ে আরো বেশি কিছু করে।’
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের পাশে দাঁড়িয়ে ব্লিংকেন আবারো জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে সমর্থ করে তুলতে ‘সবকিছু ঠিক করে নিতে’ ওয়াশিংটন কাজ করে যাবে।
রুট ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সক্রিয় সমর্থন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রুট সংবাদদাতাদের বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার এই সৈন্যদের উপস্থিতি ইউক্রেনের প্রতি বাড়তি হুমকি এবং এতে পুতিনের দ্বারা ক্ষতি করার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ১০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং তাদের বেশিভাগই কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বুধবার পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যকার সামরিক সহযোগিতাকে ব্লিংকেন ‘আসা-যাওয়ার পথ’ বলে বর্ণনা করেন।
তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সক্ষমতাকে, ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতাকে, পরমাণু ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে রাশিয়া যা করছে কিংবা যা করতে পারে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে।’
তাছাড়া উত্তর কোরিয়ার বাহিনী যুদ্ধ ক্ষেত্রের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে সেটা উদ্বেগের বিষয়।
ব্রাসেলসে ব্লিংকেন অন্যদের মধ্যে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সাথে আলোচনা করেছেন।
ওয়াশিংটনে কর্মকর্তারা বলছেন, অনুমান করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুধবার হোয়াইট হাউসে তাদের মধ্যকার আলোচনায় নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলবেন ইউক্রেন থেকে সরে না আসতে।
ট্রাম্পের রাজনৈতিক মিত্ররা এমন আভাস দিয়েছেন যে আসন্ন প্রশাসন রাশিয়ার অধিকৃত ক্রাইমিয়া ও অন্যান্য অঞ্চল পুনরুদ্ধারের চাইতে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর অগ্রাধিকার দেবে।
সূত্র : ভিওএ