হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে তলব : ইইউ ও ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা ইরানের
- নয়া দিগন্ত অনলাইনে
- ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০১
ইরানের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং রাশিয়াকে ইরানের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করতে হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তেহরান।
রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদানের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইরান এয়ারসহ সাত ব্যক্তি ও সাতটি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে ইইউ সম্মত হয়। ব্রিটেনও যে কি না ইইউর সদস্য নয়, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয় কারণ এই দেশটি হচ্ছে ২৭ রাষ্ট্র বিশিষ্ট ইইউর পালাক্রমে বর্তমান সভাপতি।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলেছে, ‘ইইউর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও, এই বৈঠকে এই বিষয়টির ওপরও জোর দেয়া হয় যে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো অবৈধ ও চাপ সৃষ্টিকারী পদ্ধতি অগ্রহণযোগ্য এবং তা আমাদের কোথাও নিয়ে যাবে না।
গত সোমবার ব্রিটেন তার ইরান নিষেধাজ্ঞার আওতায় নয়টি নতুন পদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার আগেই সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র বলে যে ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পায়।
ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমায়েল বাঘায়েই এক্স-এ বলেন, ‘কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই কিছু ইউরোপীয় দেশ এবং যুক্তরাজ্য দূর্ভাগ্যবশত দাবি করছে যে এই সংঘাতে ইরান সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে যার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।’
বাঘায়েই বলেন, ‘ইরানের ব্যক্তিবিশেষ এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থার একজন মুখপাত্র আইআরএনএকে বলেন, ‘জাতীয় বিমান, ইরান এয়ার ইউরোপে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে যেহেতু তারা আর ফ্লাইট পারমিট পায়নি।’
ইরানের শ্রমিক বার্তা সংস্থাকে অ্যাসোসিয়েশান অফ ইরানিয়ান এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইরানি বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে একমাত্র ইরান এয়ারই ইউরোপে সাম্প্রতিক সময়ে গেছে।
সর্বসাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরো রয়েছে সাহা এয়ারলাইন্স ও মাহান এয়ারলাইন্স এবং ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেইদ হামজা ঘালানদারি।
তাছাড়া ইসলামিক রিভোলিউশানারি গার্ডয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ইরান এয়ারক্র্যাফট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাসট্রিজ ও এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্পদ আটক করা এবং ইইউতে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা