হত্যার ৫০ বছর পর জার্মান গোয়েন্দার শাস্তি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩১
পূর্ব জার্মানি থেকে ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানিতে পালানোর চেষ্টাকালে এক পোলিশ নাগরিককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি সাবেক পূর্ব জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা ‘স্টাসি’র সদস্য। সোমবার ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
অভিযুক্ত স্টাসি সদস্যের বয়স এখন ৮০। আর নিহত পোলিশ নাগরিকের নাম চেচওয়াফ কুকুচকা।
১৯৭৪ সালের ২৯ মার্চ তাকে হত্যা করা হয়। ওই দিন কুকুচকা পূর্ব জার্মানির পোলিশ দূতাবাসকে তার কাছে বোমা আছে (যা আসলে ধাপ্পা ছিল) বলে হুমকি দিয়ে তাকে পশ্চিম জার্মানিতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। পোলিশ দূতাবাস কুকুচকার দাবি মেনে তাকে কাগজপত্র ও অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি বিষয়টি স্টাসিকে জানিয়েছিল।
পরে অভিযুক্ত স্টাসি সদস্য সীমান্ত পার হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পেছন থেকে গুলি করে কুকুচকাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৬ সালে স্টাসি আর্কাইভ নিয়ে কাজ করা ইতিহাসবিদেরা এই হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন। পরে পূর্ব জার্মানিতে এক দিনের জন্য ঘুরতে যাওয়া স্কুলশিক্ষার্থীরা কুকুচকার মৃত্যুর বিস্তারিত তথ্য দিলে গতবছর তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সোমবার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কুকুচকাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কুকুচকার আইনজীবী হেনরিকে হিলমান।
তবে সাবেক স্টাসি সদস্যের আইনজীবী আন্দ্রেয়া লিবশার তার মুক্তি চেয়েছেন। এর পক্ষে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগ দায়ের করার যে সর্বোচ্চ সময়সীমা তা পেরিয়ে গেছে।
সাবেক স্টাসি সদস্য নিজে আদালতে কোনো বক্তব্য দেননি। ১৪ অক্টোবর রায় দেয়া হতে পারে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে