ক্রাইমিয়ার তেল টার্মিনালে হামলার দাবি ইউক্রেনের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫০
ক্রাইমিয়ায় তেলের টার্মিনালে আক্রমণের দাবি ইউক্রেনের। ৩২টি ড্রোন ও দু‘টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা রুশ-অধিকৃত ক্রাইমিয়ায় একটি তেলের টার্মিনালে আঘাত করেছে। গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন রাশিয়ার শক্তি ক্ষেত্রকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করছে। কারণ, এই তেল বিক্রি করেই রাশিয়া যুদ্ধের খরচ তুলছে বলে তাদের দাবি।
ইউক্রেনের সেনা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছে, অধিকৃত ক্রাইমিয়ার ফিওদেশিয়ায় একটি তেলের টার্মিনালে তারা সফলভাবে আঘাত হানতে পেরেছে। ২০১৪ সাল থেকে ক্রাইমিয়া রাশিয়ার অধিকারে আছে।
সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরের একটি বন্দর-শহরে তেলের ডিপোয় আগুন লেগেছে। কোনো প্রাণহানির খবর নেই।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের ১২টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ইউক্রেন মোট ২১টি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।
ইউক্রেনের সেনার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ফিওদেশিয়া টার্মিনালটি ক্রাইমিয়ায় সব থেকে বড়, এখান থেকে তেল ও তেলজাত জিনিস রাশিয়ার সেনার কাছে সরবরাহ করা হয়।
রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল হামলা
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ৩২টি ড্রোন ও দু‘টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের একটি বিমানঘাঁটিতে গিয়ে পড়েছে। এই আক্রমণ রাতে হয়েছিল বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।
কিয়েভ সিটি মিলিটারি অর্গানাইজেশনের প্রধান প্রশাসক বলেছেন, ‘রাশিয়ার এই আক্রমণে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি।
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে
রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা ১৪ জন বিদেশী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে। এই সাংবাদিকরা গত আট সপ্তাহে সীমান্ত পার হয়ে কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকেছেন।
এফএসবি বলেছে, এই সাংবাদিকরা ফ্রান্স ২৪ এবং সুইজারল্যান্ডের সিএইচ মিডিয়ার।
গত অগাস্টে ইউক্রেনের সেনা কুরস্কে ঢুকে পড়ে এবং তারা রাশিয়ার বেশ কিছু এলাকা নিজেদের অধিকারে রেখেছে।
রাশিয়ার আইন অনুসারে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরোলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মার্কিন নাগরিকের জেল
সোমবার রাশিয়ার একটি আদালত এক মার্কিন নাগরিককে ছয় বছর ১০ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
রাশিয়ার অভিযোগ, ওই মার্কিন নাগরিক ইউক্রেনের ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছিল।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ওই মার্কিন নাগরিককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, তাকে অস্ত্র দেয়া হয়। তারপর সে লড়াই করতে যায় এবং ১২ এপ্রিল রাশিয়ার সেনার হাতে ধরা পড়ে।
রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তাকে প্রতি মাসে এক হাজার ডলার দেয়া হতো। সে ইউক্রেনে ২০১৪ সাল থেকে ছিল।
সূত্র : ডয়চে ভেলে