কিয়েভ বলছে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া ৯৩ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করেছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩
প্রতিপক্ষের হাতে ৯৩ জন যুদ্ধবন্দী হত্যার তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাপরাধ তদন্তে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধান কৌসুলির কার্যালয়ের যে দফতর সশস্ত্র সংগ্রাম সংশ্লিষ্ট অপরাধের তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে, সে দফতরের প্রধান ইউরিই বেলৌসভ ৪ অক্টোবর টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে সর্বসাম্প্রতিক সংখ্যাটি জানান।
ইউক্রেনের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলকে একীভূত করেছে এমন একটি নেটওয়ার্ক হলো ইয়েদাইনাই নোভাইনি। এই নেটওয়ার্ককে বেলৌসভ বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা করা হয়েছে এমন ৯৩ জন যুদ্ধবন্দীর বিষয়ে এখন আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।’
বেলৌসভ জানান, এসব হত্যার ৮০ শতাংশই এ বছরের ঘটনা। তবে গত বছরের নভেম্বর থেকে এ ধরনের হত্যার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, যখন ‘আমাদের দেশের যুদ্ধবন্দীদের প্রতি রুশ সেনাসদস্যদের মনোভাবে নেতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়।
দফতরের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী ডনেটস্ক অঞ্চলের পোকরোভস্ক জেলার মাইকোলায়িভকা ও সুখিই ইয়ার গ্রামের কাছাকাছি জায়গায় রুশ বাহিনী সম্প্রতি ১৬ জন ‘যুদ্ধবন্দীকে’ হত্যা করেছে।
বেশ কয়েকটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় একটি জংলা জায়গা থেকে রুশ সেনাদের হাতে সদ্য আটক ইউক্রেনীয় সেনারা বের হয়ে আসছেন।
ভিডিওর পরের অংশটি দেখে মনে হয়েছে, বন্দীদেরকে সারিবদ্ধ করে দাঁড়া করানোর পর রাশিয়ার সেনারা তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে। তারপর ভিডিওতে দেখা যায় রুশ সেনারা এগিয়ে এসে যারা শুধু আহত হয়েছিলেন, তাদেরকে আবারো কাছে থেকে মেশিনগান দিয়ে গুলি করছে।
এই ভিডিওগুলোর সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি।
আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী, আত্মসমর্পণ করা সেনাদের হত্যা করা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
ইউক্রেনের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার দ্যমিত্রো লুবিনেৎস জানান, তিনি জাতিসঙ্ঘ ও রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি, উভয়ের সাথে এই মৃত্যুর বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। এসব ঘটনায় জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সময় বন্দীদের সাথে কী ধরনের আচরণ করা যাবে ও যাবে না, তা নির্ধারণ করা হয়।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা