২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

টরেন্টো উৎসবে মেহজাবীন

-

রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন! রোমান সাম্রাজ্য নিয়ে এটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ। একইভাবে ঢাকার অভিনয়শিল্পীরা যখন আলো-অন্ধকারের গল্পে ভীত অথবা ক্ষুব্ধ সময় পার করছে, তখন দেশের অন্যতম অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ফুলের সৌরভ ছড়াচ্ছেন টরেন্টোয়!
সম্রাট নিরোর প্রবাদটি নেতিবাচক অর্থে প্রচলিত হলেও অভিনেত্রী মেহজাবীনের ঘটনাটি দেখা হচ্ছে পজিটিভ অর্থে। কারণ, বিশ্বখ্যাত টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (টিআইএফএফ) এবারের আসরে একমাত্র বাংলাদেশী সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করছেন মেহজাবীন। উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে স্থান পেয়েছে তার অভিনয়ে প্রথম সিনেমা ‘সাবা’। এটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসেন।
৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে ‘সাবা’র। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর আরো একটি শো হয়েছে। যাতে সরাসরি অংশ নিয়ে ছবিটি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এ সময় পাশে ছিলেন ছবির অন্যতম অভিনেতা মোস্তফা মনওয়ার এবং নির্মাতা মাকসুদ হোসেন। ১৪ সেপ্টেম্বর আরো একটি শো আছে ‘সাবা’র।
৮ সেপ্টেম্বরের শো শেষে একগুচ্ছ সাদা লিলি ফুল হাতে যেন শান্তি ও সৌরভের বার্তা ছড়িয়ে দিলেন টরেন্টো শহরে। পরনে কালো পোশাক আর মিষ্টি রোদে দারুণ এক দ্যুতি ছড়িয়ে দিলেন মেহজাবীন। যে আলো আর সৌরভের অনেকটাই আছড়ে পড়েছে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে অভিনেত্রীর ভেরিফায়েড পেইজের সুবাদে।
ছবির নিচে মন্তব্যের ঘরে প্রশংসায় ভাসছেন মেহজাবীন। বিপরীতে খবর মিলছে, প্রতিটি শোয়ের পর মুহুর্মুহু করতালিতে সিক্ত হচ্ছে ‘সাবা’ টিম।
এর আগে, টরেন্টোয় উৎসব স্থলে গিয়ে মেহজাবীনের দেখা হয়ে গেল তারই অসম্ভব পছন্দের অভিনেত্রী নওমি ওয়াটসের সঙ্গে। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রীর পুরনো ভক্ত মেহজাবীন। ফলে দেখা হওয়ার পর ভক্তসুলভ ছবি তুলতে ভুললেন না। সেটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রকাশ করতে করেননি দ্বিধা।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নওমি ওয়াটসের সঙ্গে টিআইএফএফে ফ্যানগার্ল মোমেন্ট।’ যেখানে তিনি নিজে ‘ভক্ত বালিকা’ বলে সম্বোধন করেছেন।
এদিকে শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ।


আরো সংবাদ



premium cement