গানে গানেই এগিয়ে যেতে চান রোকসানা রূপসা
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কয়েক বছর আগে ‘মায়া বাড়াইছে’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ প্রায় ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে। এই গানের মধ্য দিয়েই একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বেশ সাড়া ফেলেন এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রোকসানা রূপসা। কে জিয়ার লেখা ও সুরে (সঙ্গীতায়োজনে ইবনে রাজন) ভীষণ আবেগি এবং মনে গেঁথে থাকার মতো এই গানটির মিউজিক ভিডিওতেও রোকসানা রূপসা অনবদ্য অভিনয় ও করেছিলেন। গানটির মিউজিক ভিডিওতে তার সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছিলেন মাহিন আওলাদ। মাহিন আওলাদের ভাষ্যমতে, রূপসা যেমন অসাধারণ গেয়েছেন ঠিক তেমনি গানের মিউজিক ভিডিওতে পারফর্মও করেছিলেন এক কথায় অনবদ্য। রোকসানা রূপসা গানের নিয়মিত একজন শিল্পী। আগামী দিনগুলো তিনি গানে গানেই পার করতে চান বলে তার প্রবল ইচ্ছা। ছোটবেলায় তার মামা শাহীনের কাছে তার গানে হাতেখড়ি। এরপর তার তার নিজ এলাকা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আরো বেশ কয়েক জনের কাছে গানে তালিম নিয়েছেন। ২০১০ সালে রূপসা ঢাকায় আসেন।
ঢাকায় এসে সঙ্গীতে পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ২০১৫ সালে জুনিয়র সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ২০১৭ সালে তিনি সিনিয়র সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে চাকরিতে আরো মনোযোগী হয়ে ওঠেন। রূপসার কণ্ঠে আরো শ্রোতাপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ফোক গান, আধুনিক গান হচ্ছে ‘সেই যে গেলে আর ফিরে এলে না’, ‘তুই বিহনে’, ‘বলরে পাখি’, ‘নিশি রাইতের কালে বন্ধু’, ‘প্রেমকে আপন করে’ ইত্যাদি। রূপসার আরো নিজের মৌলিক গান প্রকাশ করার প্রবল ইচ্ছে রয়েছে। রূপসা বলেন, ‘তিন বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের অনেক দায়িত্বই এখন আমার কাঁধে। যেহেতু আমি পারিবারের বড় সন্তান, তাই আমাকেও পরিবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ রেখেই কাজ করতে হয়। তবে আমার দুঃখ একটাই- আমার ভয়েজটা আমি আমার মনের মতো করে কাজে লাগাতে পারলাম না। এই যে গানকে ঘিরে এত সাধনা, এত আরাধনা- যদি কাজেই না লাগাতে পারি, কী হবে। তবে আমার বিশ^াস সামনে আমার সময় সুযোগ হবে নিজেকে আরো প্রমাণ করার- ইনশাআল্লাহ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা