অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতারা
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সিনেমা, নাটক, মিউজিক ভিডিওর বাইরে দেশের নির্মাণশিল্পের বড় একটি অংশ জুড়ে আছে বিজ্ঞাপনচিত্র। এভাবেও বলা যায়, সব নির্মাণের বেশির ভাগ বাজেট থাকে এই অংশে। এবার সেই অংশের নির্মাতারা ডেকেছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট! তাতে সায় দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রায় সবগুলো সংগঠন। বিজ্ঞাপন নির্মাণসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঁচ দশকের ইন্ডাস্ট্রিতে এবারই প্রথম ঘটল এমনটি।
বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাডফিল্ম অ্যান্ড কনটেন্ট প্রডিউসার্স (বিএএসিপি) এই ধর্মঘট ঘোষণা করেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি দাবি নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনের সদস্যরা। জানানো হয়েছে, তাদের অন্তত তিনটি দাবি না মানা পর্যন্ত এই ধর্মঘট কিংবা কর্মবিরতি চলবে। দাবি তিনটি হলো- আগের বকেয়া নিষ্পত্তি, সময়মতো কাজের আদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) দেয়া এবং ৭৫ শতাংশ অগ্রিম অর্থ প্রদানের পর অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ বিলিংয়ের ৪৫ দিনের মধ্যে প্রদান।
বিএএসিপির নেতারা বলছেন, বাংলাদেশ যেহেতু ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই বিজ্ঞাপনচিত্র শিল্পকেও সংস্কার করার এটাই উপযুক্ত সময়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিএএসিপির আহ্বায়ক মো: হাবিবুর রহমান তারেক বলেন, ‘বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর সাথে আমরা কয়েক দফা একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছি। এরপর ইমেইল করে সঙ্কট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি।’
বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে সম্পৃক্ত অন্যান্য সংগঠন যেমন- অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড ফিল্মমেকারস অ্যাসোসিয়েশন (এডিএফএ), বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব সিনেমাটোগ্রাফারস (বিএসি), পোস্ট প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পিএবি), আর্ট ডিরেক্টরস অ্যান্ড কস্টিউম ডিজাইনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বিএএএমএস, মেকআপ, প্রোডাকশন ম্যানেজার, লাইট, ক্যামেরা, কাস্টিং পরিচালক এবং সেট কারিগররা ধর্মঘটকে সমর্থন দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে। করোনাকালে আত্মপ্রকাশ করে বিএএসিপি। বর্তমানে এর সদস্য দেশের ৬০টি প্রোডাকশন্স হাউজ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা