অভিনয়ে ফেরার প্রবল আগ্রহ ডেইজি আহমেদের
- আলমগীর কবির
- ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০৫
ডেইজি আহমেদ,একাধারে একজন রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী এবং অভিনেত্রী। প্রয়াত বরেণ্য নায়ক, নির্দেশক বুলবুল আজমেদের স্ত্রী তিনি। ডেইজি আহমেদ আজীবন গান গেয়েছেন, অভিনয় করেছেন আর সংসার নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু এই সময়ে এসে অভিনয়ে তাকে একেবারেই দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু তার অভিনয়ে ফেরার প্রবল আগ্রহ রয়েছে। ডেইজি আহমেদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ সব মিলিয়ে আমি সুস্থ আছি, ভালো আছি। যেহেতু একসময় অভিনয়ও করেছি, এখনো অভিনয়টা করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তেমন কেউই আসলে যোগাযোগ করে না। খুব ইচ্ছে করে ভালো ভালো গল্পের নাটকে কিংবা সিনেমাতে অভিনয় করতে। আমি সবসময়ই অভিনয় করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। আশা করব পরিচালকরা আমার আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন। সত্যি বলতে কী, একজন শিল্পী তো আমৃত্যু অভিনয় করে যেতে চান। আমিও ঠিক তাই চাই। মাঝে মধ্যে ফেলে আসা দিনগুলো খুব মিস করি। যে যেখানেই আছেন ভালো থাকুন, সবার জন্য দোয়া-শুভ কামনা রইল।’ ডেইজি আহমেদ তার জীবনের দীর্ঘ এই পথচলায় মাত্র একটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের অ্যালবাম প্রকাশ করতে পেরেছিলেন। অ্যালবামের নাম ‘তোমার রাগে অনুরাগী’। ১৯৯৬ সালে এটি বাজারে এসেছিল। এর সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন প্রয়াত সাদী মহম্মদ। তার মৃত্যুতে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন তিনি। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতের কোর্স শেষ করেছিলেন ডেইজি আহমেদ, পাপিয়া সারোয়ার এবং কাদেরী কিবরিয়া একই সাথে। পরীক্ষায় ডেইজি আহমেদই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ডেইজি আহমেদ ‘সঙ্গীত ভবন’ থেকেও রবীন্দ্র সঙ্গীতে তালিম নিয়েছিলেন। বি.বাড়িয়ার মেয়ে ডেইজি আহমেদের আসল নাম ফৌজিয়া আহমেদ ডেইজি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে নাম হয়ে যায় ডেইজি আহমেদ। তার বাবা আব্দুল আউয়াল ও মা লতিফা আউয়াল। পরিবারের সবাই তাকে খুকু নামেই ডাকেন এখনো। ডেইজি আহমেদ বলেন, ‘খুকু নামটি আসলে কেউই জানে না। আমার ভাই-বোনেরাই শুধু এই নামে ডাকে। সারা জীবন দর্শকের কাছ থেকে যে ভালোবাস পেয়েছি এটিই আমার জীবনের অনেক বড় অর্জন।’ টেলিভিশনে ডেইজি আহমেদ প্রথম অভিনয় করেন আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় ‘মালঞ্চ’ নাটকে। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন বুলবুল আহমেদ, কবরী। একই সময়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় ‘বড় দিদি’ নাটকেও অভিনয় করেন তিনি। নায়ক বুলবুল আহমেদের সাথে ডেইজি আহমেদ বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৬৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। তাদের সুখী দাম্পত্য জীবনের ঘর আলোকিত করে তিন সন্তান- শুভ, তিলোত্তমা, ঐন্দ্রিলা জন্ম নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা