তাহসানের নাম আসা ২৪তম বিসিএসে আসলে কে প্রথম হয়েছিলেন
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
আবেদ আলী ইস্যুতে সম্প্রতি দেশের প্রখ্যাত গায়ক ও অভিনেতা তাহসান রহমান খানকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এক দশকের দীর্ঘ সময় বিনোদন জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত দর্শকনন্দিত এই অভিনেতা এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে আলোচনায় এসেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ায়, তাহসান ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। সে সময় তার মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ছিলেন। যদিও তাহসান খান এ খবরকে গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আসলে ওই বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন কে?
ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট ‘রিউমার স্ক্যানার’-এর অধিকতর অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘২৪তম বিসিএস পরীক্ষাটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরই বাতিল করা হয়? পরবর্তীতে আবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং প্রথমবারের মতো ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়, যাতে আলোচিত ক্যাডারে প্রথম হন কাজী এহসানুল হক।’ সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় পিএসসির উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। প্রশ্নফাঁস নিয়ে তুুমুল আলোচনা-সমালোচনা মাঝে হঠাৎ করেই চলে আসে তাহসানের নাম। তাহসানের মা অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ২০০২ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের মে মাস পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করেন, প্রশ্নফাঁস-কাণ্ডে গ্রেফতার আবেদ আলী ছিলেন তাহসানের মা জিনাতুন নেসার গাড়িচালক। মা পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালে কি কণ্ঠশিল্পী তাহসান বিসিএসে প্রথম হয়েছিলেন? এর সাথে আরো গুজব ওঠে, তাহসান তার মায়ের আমলে বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। পরে দুর্নীতির জন্য আবারো বিসিএসের ভাইভা অনুষ্ঠিত হলে ভাইভা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে অবশেষে মুখ খুললেন তাহসান। একটি গণমাধ্যমকে এই সঙ্গীতশিল্পী বলেছেন, তিনি কোনো দিন বিসিএস পরীক্ষাই দেননি। ওই গণমাধ্যমকে তাহসান বলেন, ‘মানুষ বোঝে এসব ভুয়া খবর। এরই মধ্যে মানুষজন এর প্রতিবাদও করছে। নানানজন নানানভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আরেকটা কথা, আমি কিন্তু কোনো দিন বিসিএস দিইনি। আর যেই গাড়িচালকের (আবেদ আলী) কথা বলা হচ্ছে, তিনি কোনো দিন আমার আম্মার গাড়িচালক ছিলেন না।’
এই শিল্পী আরো বলেন, ‘এখানে একটা ভুল হচ্ছে। এই ড্রাইভার অফিসের অন্য ড্রাইভারদের মতোই একজন। তিনি আমার মায়ের ড্রাইভার নন।’ এ ছাড়া ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা রিউমর স্ক্যানারও জানিয়েছে, ২৪তম বিসিএসের ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়।
রিউমর স্ক্যানার বলে, ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৩ মার্চ পরীক্ষাটি বাতিল করে পিএসসি। পরে আবার ২৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়। অর্থাৎ যে বিসিএসে তাহসান পররাষ্ট্র ক্যাডার হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরই বাতিল হয়। তাই তাহসানের সুপারিশ পাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তা ছাড়া ২৪তম বিসিএসে ভাইভা একবারই হয়েছিল। ফলে আবার ভাইভায় অংশগ্রহণের দাবিটিও অমূলক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা