২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মিউজিকের মতো কাজ করতে চাই : জেফার রহমান

-

জেফার রহমান। নতুন প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী। তবে এবারের ঈদে তিনি দর্শকদের সামনে এসেছেন নতুন পরিচয়ে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব ফিল্ম ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’তে তাকে দেখা গেছে অভিনেত্রী হিসেবে। নতুন এই পরিচয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নয়া দিগন্তের সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাকিবুল হাসান

গায়িকা থেকে অভিনেত্রী। হঠাৎ পরিচয় বদল কেমন লাগছে?
- পরিচয় বদল না। এটাকে বলা যেতে পারে পরিচয় যোগ। মানে আমি সঙ্গীত শিল্পী ছিলাম এখন অভিনেত্রী পরিচয় যোগ করার চেষ্টা করছি। আমি একজন সঙ্গীতশিল্পী। আমাকে মানুষের সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই চিনতে হবে। সেই জায়গায় আমি সফল। আমাকে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই প্রথমে মানুষ চেনে। এখন অভিনয়, এটা একটি নতুন ফিল্ড। মিউজিকের মতোই এখানেও আমি কাজ করতে চাই। নতুন অফার পেয়েছি। কিন্তু নিয়মিত কাজ করব না। আমি অনেক বেছে বেছে কাজ করব। কোনো চরিত্র যখন চ্যালেঞ্জিং মনে হবে, ঠিক তখনই আমি সেই কাজটা করব।
অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
- সত্যি কথা বলতে কি, আমার ফ্যামিলি থেকে শুরু করে বাইরের মানুষ, সবাই খুবই প্রশংসা করছে। এটা অবশ্যই ভালো লাগছে, যেহেতু আমি অভিনেত্রী না। এটা আমার প্রথম কাজ এবং সেটাতে যখন ভালো প্রশংসা পাচ্ছি, তখন আমার আরো ইচ্ছা করছে, আরো অভিনয় করতে চাই। ফিল্মটি আমি প্রিমিয়ারে দেখেছি। রিলিজের পরে বন্ধুদের সাথে দেখেছি। সবাই প্রশংসা করেছে। এখানে বাস্তবতার আলাদা একটি প্রেক্ষাপটকে দেখানো হয়েছে। বিষয়টিকে সুন্দরভাবে সমন্বয় করেছেন পরিচালক ফারুকী ভাই।
এই কাজে সবচেয়ে চ্যালেজিং মনে হয়েছে কোন বিষয়টি?
- প্রথম দিকে আমি খুব নার্ভাস ছিলাম, মানুষ কী বলবে? খারাপ হবে নাকি? কিন্তু এখন যখন সবাই বলছে, ‘না, তোমাকে দেখে মনেই হয়নি তুমি অভিনয় করেছ এই প্রথমবার।’ অবশ্যই সেটা আমার খুব ভালো লাগছে। আর এটাকে আমার মনে হয়েছে একটি চ্যালেঞ্জ জয় করেছি।
প্রথম অভিনয়ের প্রস্তাবটা কবে পেয়ে ছিলেন?
- আমি অনেক আগে থেকে অভিনয় প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু কখনোই রাজি হইনি। ভালোভাবেই সময় নিয়ে অভিনয় করতে চেয়েছি। ‘মনোগামী’তে অভিনয় করে এই কয়দিন ধরে অভিনেত্রী হিসেবে দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে।
গল্পের মতো বাস্তব এই বিষয়বস্তু নিয়ে দর্শকদের কাছ থেকে কিছু কি শুনেছেন?
- অনেক ধরনের কনটেন্ট তৈরি হয়। সেখানে এমন কনটেন্টে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং। টপিকটা যেহেতু ট্যাবু, তারপরও কনটেন্ট নিয়ে দর্শকরা প্রশংসা করছেন। এটা কিন্তু বাস্তবতার বাইরে কিছু না। ‘এমন টপিক কেন’, এমন কিছু দর্শক বা সমালোচক কারো কাছ থেকে শুনিনি। ‘মনোগামী’ নিয়ে খারাপ কিছু এখনো আমি দেখিনি। আমাকে অনেকেই ট্যাগ করেছেন, সেগুলো দেখেও খারাপ কিছু পাইনি। এটা সত্য, টপিকটা অনেক সেনসিটিভ, সেটা ফারুকী ভাই ঠিকমতো হ্যান্ডেল করেছেন।
তাহলে তো আপনার অভিনয় দিয়ে ফেরাটা সার্থক?
- আমি নাটক, সিনেমায় অভিনয়ের অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। সব সময়ই আমি ‘না’ করে আসছি। আমার কাছে মিউজিকই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পরে ফারুকী ভাই যখন অভিনয়ের প্রস্তাব দেন, তখন আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। তিনি ভালো একজন পরিচালক। তার অবশ্যই ভালো কোনো পরিকল্পনা ছিল। যে কারণে ফিল্মটিতে যুক্ত হওয়া। প্রচারের পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় অভিনয় নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। ভালো চিত্রনাট্য, পরিচালক, ভালো টিম পেলে গানের পাশাপাশি অভিনয় করব।
চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার পর গল্পটি কীভাবে দর্শক নেবেন, এ নিয়ে কোনো ভাবনা কাজ করছিল?
- খুব একটা চিন্তা হয়নি। কারণ, আমি ফারুকী ভাইয়ের হাতে সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি তো অভিনেত্রী নই, গান করি। সেখানে ফারুকী ভাইয়ের আইডিয়া ছিল আমাকে কাস্ট করার। গল্প শোনার পরে আমার মনে হয়েছিল, এখানে চরিত্রের অনেক লেয়ার আছে। এটা কমপ্লিটলি পজিটিভ কোনো চরিত্র নয়, তবে লেয়ারগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছিল। দর্শক কী বলবে, সেটা ভাবিনি। কাজেই মনোযোগ ছিল।
ছবির গল্পের বিষয়টাকে আপনার জায়গা থেকে কীভাবে দেখেন?
- ‘মনোগামী’তে যে পরকীয়ার মতো বিষয় দেখানো হয়েছে, এটা কিন্তু শুধু আমাদের সমাজে নয়, বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়া একজিস্ট করে। হয়তো মানুষ এটা নিয়ে কথা বলে না। এটা ট্যাবু টপিক। ‘মনোগামী’তে একটা পার্থক্য দেখানো হয়েছে, বার্তা রয়েছে। সচরাচর যেসব হয়, সেগুলোই কিন্তু গল্পে দেখানো হয়েছে। এখানে গল্পের সাথে কিন্তু অনেকেই রিলেট করতে পেরেছেন। একেকজন একেকটা চরিত্রের সাথে রিলেট করছে। এটা আমি নিজেও শুনেছি। অনেক দর্শক বলছেন, ‘মনোগামী’র সাথে নিজেদের রিলেট করতে পেরেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement