২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শত শিশুর সাথে গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ালেন রুনা লায়লা

-

গত ২৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শিশুদের নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণায়লয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এমপি। একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম ও মহাপরিচালক আনজীর লিটনও ওই বিশেষ আয়োজনে অতিথির আসনে থেকে আগত শিশু ও শিশুদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। সংস্কৃৃতি পর্বের আয়োজন শেষে প্রধান অতিথি বিভিন্ন শাখায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার তুলে দেন বিজয়ীদের হাতে। দুপুর ১২টায় মঞ্চে উঠেন এই আয়োজনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় পর্বের অংশ হিসেবে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা। তার সাথে মঞ্চে ছিল ১০০ শিশু। শিশুরা রুনা লায়লার সাথে একই মঞ্চে আনজীর লিটনের লেখা ও আশরাফ বাবুর সুর করা ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি পরিবেশন করে। গান পরিবেশন করার সময় পুরো মিলনায়তন ভর্তি দর্শক ভীষণ আগ্রহ নিয়ে রুনা লায়লার সাথে শত শিশুর গান উপভোগ করছিলেন। সুরে সুরে গানে গানে রুনা লায়লার সাথে শিশুদের গান পরিবেশনা এক অভূতপূর্ব মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। গান পরিবেশনা শেষে প্রধান অতিথি মুগ্ধ বিস্মিত হয়ে তাকিয়েছিলেন মঞ্চের দিকে। আরো গান গাওয়ার জন্যও অনুরোধ আসছিল। অনেকেই তখন বলছিলেন শিশু একাডেমির ইতিহাসে এত সুন্দর পরিবেশনা এর আগে ছিল না। তাই এর নেপথ্যে থাকা সবার প্রতি প্রধান অতিথিও ধন্যবাদ জানান। গান পরিবেশনায় শিশুদের মিউজিক ইনস্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করেছেন শারমীন সুমী। গান পরিবেশনা শেষে রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি তো ভাবতেও পারিনি শিশুরা এত সুন্দরভাবে নিজেদের উপস্থাপন করবে।
পুরো আয়োজনটিই এত নান্দনিক ছিল যে, নিজেই মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছিলাম। আর যখন গান গাইছিলাম তখন আমার সাথে শিশুদের পারফরম্যান্স দেখে বিস্মিত হয়েছি। এই শিশুদের সঠিকভাবে চর্চায় রেখে যারা এর নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সত্যিই আমার কাছে দিনটি বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement