স্বাধীনতা বা একুশে পদক পাননি আনোয়ারা, কষ্ট নেই মুক্তির
- সাকিবুল হাসান
- ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
আনোয়ারা, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী। যিনি সারাটি জীবন শুধু অভিনয়কে ভালোবেসে অভিনয়টিই করে গেছেন। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন এ দেশের সব শ্রেণীর দর্শক। মাত্র আট বছর বয়স থেকে কিছু দিন আগে অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশবরেণ্য এই ভীষণ গুণী অভিনেত্রী নিয়মিত অভিনয় করে গেছেন। ক্যামেরার সামনেই যেন থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন আগে স্ট্রোক করায় তার একমাত্র মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি ও তারই মেয়ে কারিমার সেবায় ডাক্তারদের যথাযথ চিকিৎসায় এখন মোটামুটি অনেকটাই সুস্থ। তিন বছর আগে আনোয়ারার স্বামী মারা যান। যে কারণে পরিবারের পুরো দায়িত্ব এখন মুক্তির উপরই। গল্পে গল্পে জানা যায় কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য। যেখানে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠে, একজন আনোয়ারার ক্ষেত্রে তা সবসময়ই সুবিচার হয়েছে বলেই সবাই বলেছেন। ‘নবাব সিরাজউদদৌলা’, ‘প্রীত না জানে রীত’, ‘১৩ নং ফেকু ওস্তাদাগার লেন’, ‘কাগজের নৌকা’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘বাঁশরী’, ‘দেবদাস’, ‘সুন্দরী’, ‘এতিম’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সবুজ সাথী’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’, ‘নসিব’, ‘শুভদা’, ‘নসীব’সহ এমন অসংখ্য জনপ্রিয়-দর্শক সমাদৃত সিনেমায় অভিনয় করেছেন আনোয়ারা। আনোয়ারার পুরোটা জীবনই অভিনয়ে সমৃদ্ধ। দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীদের এ বছরও একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক যোগ্য শিল্পী বাদ পড়েছেন। বাদ পেড়েছেন আনোয়ারাও। কী নিয়মে কীসের উপর বিচার করে একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক দেয়া হয় তার স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা না থাকলেও এ বছরও যারা জীবদ্দশায় একুশে পদক পেলেন তাদের অনেকের চেয়ে যোগ্যতায় আনোয়ারা অনেক অনেক এগিয়ে। কেন এমন দেশবরেণ্য কিংবদন্তি গুণী অভিনেত্রী বিশেষত একুশে বা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তি থেকে এখনো বাদ পড়ে আছেন তা বোধগম্য নয়। তবে এ নিয়ে আনোয়ারার কোনো দুঃখবোধ নেই। আনোয়ারা বলেন, ‘এক জীবনে শুধু অভিনয় করেই এ দেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। কোথাও বের হলে এখনো মানুষ যেমন শ্রদ্ধা করে তেমনি ভালোবাসে। এই ভালোবাসার কোনো প্রতিদান হয় না। আমার কর্মজীবনে প্রত্যেক শিল্পীর সাথেই আমার সুসম্পর্ক ছিল। আমার অসুস্থতার সময় সবাই খোঁজ নিয়েছেন। আমি খুশি।’ আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি বলেন, ‘দর্শক হিসেবে আমি আমার অভিনয়ের ভক্ত আর তার সন্তান হিসেবে আমি অবশ্যই গর্বিত। এমন মায়ের সন্তান আমি যাকে বাংলাদেশের মানুষ যেমন সম্মান করেন ঠিক তেমনি ভালোবাসেন। একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক নিয়ে আম্মার বা আমাদের কারো কোনো দুঃখ বা কষ্ট নেই। রাষ্ট্র যাকে যোগ্য মনে করে তাকেই সম্মান দেবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা