পুরস্কারটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল : তাসনিয়া ফারিন
- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
তাসনিয়া ফারিন। অভিনয় দিয়ে রীতিমতো চমক দিচ্ছেন তিনি। তারই স্বীকৃতি মিলেছে এবার ইরান থেকে। দেশটির ৪২তম ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ইস্টার্ন ভিস্তা’ বিভাগে ক্রিস্টাল সিমোর্গ পুরস্কার পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। ‘ফাতিমা’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করে এই পুরস্কার জিতলেন। এ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নয়া দিগন্তের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাকিবুল হাসান
আপনি তো অভিনয় দিয়ে একের পর এক চমক দিচ্ছিন। এর রহস্য কী?
- কোনো রহস্য নাই। ক্যামেরার সামনে যখনই দাড়াই মনে হয় দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। যখন যে চরিত্রে অভিনয় করি সেটা ফুটিয়ে তোলাই হলো দায়িত্ব। যেকোনো পেশাতেই কিন্তু দায়িত্ববোধ খুব জরুরি। আপনি যদি আপনার ওয়াদার প্রতি সম্মান দেখাতে পারেন তবে অবশ্যই এর যথাযথ প্রাপ্তি চলে আসবে।
ইরান থেকে পাওয়া পুরস্কার আপনার ক্যারিয়ারে জন্য কতটুকু অনুপ্রেরণা হবে?
- এটি অবশ্যই অনেক বড় অনুপ্রেরণা। কারণ এমন খবর যেকোনো শিল্পীর জন্য আনন্দের। পুরস্কারটি একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল আমার কাছে। উৎসবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে। প্রথমবার ফেস্টিভ্যালে যাওয়া, এত মানুষের সাথে দেখা হওয়া আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা।
কিন্তু প্রোগ্রামে যাওয়ার পরও পুরস্কারটি নিজের গ্রহণ করতে পারলেন না কেন?
- একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য উৎসব শেষ হওয়ার এক দিন আগেই চলে আসতে হয়েছে। পুরস্কার পাওয়ার পর এ জন্য আফসোস হয়েছে।
ক্যারিয়ারের অল্প সময়ে আপনার প্রাপ্তির খাতা অনেক ভাড়ি। এতে কি ভয় লাগে মাঝে মাঝে?
- আসলে খুব বেসি এক্সপেক্টেশন রাখি না লাইফ থেকে। যে কারণে হয় কী আমার কাছে যেটাই আসে সেটাই একটা সারপ্রাইজ। তো আমি খুবই গ্রেটফুল থাকি সব সময়। কোনো ছোট কিছু পেলেই আমি খুশি হয় যাই। যে কাজই করেছি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি মানুষের থেকে। চড়াই উতরাই পার তো হতেই হয়েছে এবং সামনেও হতে হবে। আমার মনে হয় যে লাইফটাই একটা অ্যাডভেঞ্চার। আর অভিনয়ে যুক্ত হয়ে ভালোই হয়েছে কারণ প্রতিদিনই এক একটা চরিত্রতে বাঁচতে পারি সেটিই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা।
অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নটা কি ছোটবেলা থেকেই ছিল?
- আমি কিন্তু ছোট থেকে অভিনেত্রী হতে চাইনি আমার মা চেয়েছিলেন। মা আমার মধ্যে হয়তো অভিনয় সত্তাটা দেখেছিলেন। জানি না কতটা পেরেছি। তবে হ্যাঁ এত ভালো ভালো কাজ, নিজের এক্সপেক্টেশন আরও বারিয়ে দেয় সেখান থেকে নিজেই ভাবি যে এই কাজটার থেকে আমাকে আরো ভালো কাজ করতে হবে।
ফাতিমা সিনেমাটি তো আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের কাজ?
- ২০১৭ সালে সিনেমাটির কাজ শুরু করেছিলাম। নাম ছিল ‘দাহকাল’। তখন কাজটি শেষ করা যায়নি। ২০২২ সালে আবার কাজ শুরু হয়। নামের সাথে অনেক কিছুই বদলে যায়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা ছিল পাঁচ বছরের গ্যাপটা যেন স্ক্রিনে বোঝা না যায়। উৎসবে যারা সিনেমাটি দেখেছেন তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। গ্যাপটা কারো চোখেই পড়েনি। অভিনয় কিংবা লুকের কন্টিনিটি- কোনোটাই তেমন কোনো পার্থক্য বোঝা যায়নি।
ফাতিমা কি ওয়েবে মুক্তি পাবে, নাকি প্রেক্ষাগৃহে?
- ইরানের উৎসবে সিনেমাটি প্রশংসিত হয়েছে। সামনে আরো কিছু উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার কথা। ইরানের উৎসবে নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকেই সিনেমা হলে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছে। তবে এ বিষয়ে সঠিক বলতে পারবেন নির্মাতা ও প্রযোজক। তবে আমার মনে হয়, এটি সিনেমা হলে রিলিজ হওয়া উচিত।
ফাতিমার গল্প কী নিয়ে?
- ছোট করে যদি বলি, ফাতিমা ও সুবর্ণা নামের দু’টি মেয়ের জার্নি নিয়েই তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। আমি ফাতিমা চরিত্রে অভিনয় করেছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা