২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

১৪ ফেব্রুয়ারির বিশেষ আয়োজন লাভ লেটার্স

-

অনন্ত শাহেদ চৌধুরী আর মাইশা ইসলাম ভালোবাসা দিবসে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে পড়ে শোনাবেন চিঠি। ছবি, ঈদকার্ড আর নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্রে তাদের প্রেমের ইশারাভরা লেখা। আর পুরনো প্রেমের স্মৃতি বহন করা প্রৌঢ় এই চরিত্র দু’টি মঞ্চে রূপ দেবেন বরেণ্য নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। সহকারী হিসেবে থাকবেন রবিন বসাক ও নাজমুন নাহার।
আবদুস সেলিমের অনুবাদে মার্কিন নাট্যকার এ আর গার্নির ‘লাভ লেটার্স’-এর পাঠ্যাভিনয়ে বুধবার মঞ্চে উঠবেন এই দুই নাট্যকুশলী। ত্রপা মজুমদারের নির্দেশনায় এটি থিয়েটারের ৪৮তম প্রযোজনা। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রূপান্তরিত এ নাট্য নির্মাণে দুই চরিত্রের একে অন্যকে লেখা চিঠি পড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে মাইশা ও অনন্তের জীবনের কাহিনী।
দর্শক পরিভ্রমণ করেন তাদের জীবনের পথে পথে; যার প্রধান ৫টি পর্যায় এই দুই চরিত্রের কলেজজীবন, বিশ্ববিদ্যালয়জীবন, কর্মজীবন, ভালো-মন্দের মিশেলে জীবনের এক অন্য রকম অধ্যায় আর সর্বশেষ আত্ম-অনুধাবন স্তরে উপনীত হওয়া।
নাটকে দু’টি বিপরীত স্বভাবের মানব-মানবীর কৈশোর থেকে শুরু করে জীবনের অন্তিমপর্যায় অবধি বহুবিধ ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে তাদের পত্রবিনিময়ের ভেতর দিয়ে। ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতির পাশাপাশি সমকালীন সামাজিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ, বিশেষত ছয় দফার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের বিষয়গুলো একটি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
অনন্ত পড়ালেখা করেছেন ক্যাডেট কলেজে। ব্যারিস্টারি পড়েছেন লন্ডনে। সরাসরি অংশ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। পরে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে গবেষণা আর রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন। সংসদ সদস্য হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে তার সফল জীবন। অপর দিকে মাইশা কনভেন্ট স্কুলে পড়ালেখা করে ভর্তি হয়েছেন আর্ট কলেজে। সেখান থেকে প্যারিসে উচ্চশিক্ষা। তার ছবির প্রদর্শনী হয়েছে লন্ডনে। শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। বিয়ে করেছেন এক ব্রিটিশ নাগরিককে। দুই মেয়ে তার। তবে শেষ অবধি তার সংসার টেকেনি। শেষ জীবনটা বড়ই বিষণœ তার।


আরো সংবাদ



premium cement