২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রুনা লায়লাই তৃপ্তির প্রিয় শিল্পী, স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার

-

কার না প্রিয়শিল্পী তিনি। তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা। রুনা লায়লার পরবর্তী প্রজন্মে যতো শিল্পী এসেছেন গানের ভুবনে তাদের প্রায় সবারই প্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা। শুধু তাই নয় মঞ্চে তারই গান গাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় মাগুরার নতুন বাজারের প্রদীপ বিশ^াস ও আলো রানী বিশ^াস দম্পতির মেয়ে তৃপ্তি বিশ^াসেরও ভীষণ প্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা। তাই মঞ্চে গাওয়া তার সবচেয়ে প্রিয় গান ‘ও লাল মেরী’ গানটি অর্থাৎ ‘দামাদাম মাসকালান্দার’ গানটি। ছোট্টবেলায় স্বর্গীয় শতদল বড়–য়ার কাছে তৃপ্তি গানে তালিম নিয়েছেন ঠিক তার বারো বছর বয়স পর্যন্ত। এর পর বাবার তবলা শিল্পী প্রদীপ বিশ^াসের কাছেও গানে তালিম নিয়েছেন। মাগুরা গার্লস স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি প্রথম মঞ্চে গান করেন। ২০১৯ সালে তার প্রথম মৌলিক গান ‘তুই বিহনে’ প্রকাশ পায়। গানটি লিখেছেন এমদাদ সুমন, সুর করেছেন মাসুম এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন জনি। গানটি সিডি চয়েজ-এ প্রকাশ পাবার পর বেশ প্রশংসিত হন তৃপ্তি। এরপর তার কণ্ঠে আরো প্রকাশিত হয় ‘দিল আওয়ারা’,‘ পড়েছে চোখ’, ‘আদরে আদরে’, ‘জ¦ালা দিয়া গেলি বুকে মালা দিলিনা’। ঢাকায় এসে এক সময় বাংলা কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন তৃপ্তি। কিন্তু গানের প্রতি বেশি ঝুঁকে যাওয়ায় পড়াশুনায় আর খুউব বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। তৃপ্তির বাবা মাগুরাতেই থাকেন। তাই বাবার সাথে হারমোনিয়াম নিয়ে বসারও সময় হয়ে উঠেনা তার। তবে গানের প্রতি তার ভালোবাসা দিন রাতের প্রতিটি প্রহর। তৃপ্তি বিশ^াস বলেন,‘ সত্যি বলতে কী ছোটবেলা থেকেই ধ্যান জ্ঞান আমার গানকে ঘিরেই। গানকে ঘিরেই আমার যত স্বপ্ন, সাধনা। আমার পরম শ্রদ্ধার এবং প্রিয় শিল্পী শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডাম। তার গানই মঞ্চে গাইতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি বেশি। ঈশ^র তাকে সবসময় ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন-এই কামনাই করি। আর আমার খুব বেশি মৌলিক গান নেই।


আরো সংবাদ



premium cement