২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আমি নিজেকে দেখে নিজের ভুলগুলো ধরি : তটিনী

আমি নিজেকে দেখে নিজের ভুলগুলো ধরি : তটিনী -

আপনি তো বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিলেন মেডিক্যালে ভর্তি হতে কিন্তু এখন ব্যস্ততা বেশি নাটকে। এই পরিবর্তনটা কিভাবে হলো?
যারা মেডিক্যালে পড়তে চান, তাদের প্রায় সবারই ইচ্ছে থাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়ার, কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল বরিশাল মেডিক্যালে পড়ার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা আর হয়নি। তবে এ জন্য আমি কষ্ট পাইনি। কারণ আমার বর্তমান অবস্থানে আমি সন্তোষ্ট। আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন।

নাটকের সাথে যুক্ত হলেন কিভাবে?
২০১৯ সালের মার্চের কথা। আমার এক পরিচিতর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের অডিশনে যাই। একদম কৌতূহল থেকেই গিয়েছিলাম এবং কাজটি হয়ে গেল। কখনো ভাবিইনি অভিনয় করব। কাজে আসার পর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
অভিনয়ের জায়গাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সেটা কিভাব মোকাবেলা করছেন?
নাটকের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সে জন্য অনেকবার ভাবছি। নেতিবাচক জিনিসটা আগে ভাবছি। চেষ্টা করব যেন সব ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া যায়।
এখানে কর্মপরিবেশ কেমন পাচ্ছেন
আর্থিকভাবে পরিবেশটা কেমন সেটা নিয়ে এখনই মন্তব্য করার মতো অবস্থায় নেই আমি। আমার ভালোই মনে হয়েছে। তবে যেটা বেশি জরুরি নতুনদের জন্য, সেই সমর্থন আমি পেয়েছি, পাচ্ছি। দু’জন মানুষের কথা আমি বিশেষ করে উল্লেখ করতে চাই, সাবরিনা আইরিন আপু ও আশফাকুজ্জামান বিপুল ভাইয়া। এদের হাত ধরেই আমার আসা। আমি অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।’
আপনার অভিনীত নাটক ‘পথে হলো দেরি’ নিয়ে তো সবাই প্রশংসা করছেন।
নাটকে আমাদের আয়োজনটা ছিল অনেক বড়। অনেক সময় নিয়ে কাজটি করেছি। এ কারণে আমাদের প্রত্যাশাও বেশি ছিল। যতটা প্রত্যাশা ছিল, তার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। নাটকটি নিয়ে দর্শক কথা বলছেন, এখনো দেখছেন, প্রশংসা করছেন, এটা ভালো লাগছে।
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করেছে কোন নাটক?
মিজানুর রহমান আরিয়ান ভাইয়ের ‘সুহাসিনী’ নাটকে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলাম। তার পর থেকে দর্শক আমাকে ‘সুহাসিনী’ হিসেবেই ডাকেন। পরে এক বছর তেমন কোনো কাজ করিনি। গত বছর ক্লোজআপ ওয়ানের নাটক ‘সময় সব জানে’ দর্শকরা পছন্দ করেন। এই নাটক দিয়ে আমার একক নাটক শুরু হয়।
তরুণ অভিনয়শিল্পীদের অনেকেই বলেন, পরিচিতির জন্য শুরুতে বেশি কাজ করা উচিত। আপনি কী মনে করেন?
এটা অনেকেই মনে করেন। অবশ্যই ঠিক আছে। দিন শেষে জনপ্রিয়তার দরকার আছে। আমার যদি একটা ভক্তশ্রেণী তৈরি না হয়, তা হলে মানুষ আমার কাজ কেন পছন্দ করবে? কিন্তু অনেক বেশি কাজ করে যদি কাজের মান কমিয়ে ফেলি, তা হলে দীর্ঘ মেয়াদে আমাকে কেউ মনে রাখবেন না। ভালো কাজ করলেই দর্শক মনে রাখেন। ৫০টা কাজ করেও যদি মনে রাখার মতো কাজ না করা হয়, তাহলে কিন্তু বছর শেষে দর্শক আমাকে মনে রাখবেন না। একটা মান ধরে রেখে সব সময় কাজ করতে চেয়েছি। ভালো কাজ করলে জনপ্রিয়তা এমনিতেই আসবে।
সমসাময়িক কাউকে নিজের প্রতিযোগী মনে করেন?
সত্যি বলতে আমার নিজের কাজ নিয়ে এতটাই চিন্তিত থাকি যে সমসাময়িক কে কী করলেন, এগুলো নিয়ে ভাবি না। তাদের নিয়ে ভাবলে আমি আমাকে নিয়ে কখন ভাবব? আমার প্রতিযোগী আমি নিজেই। অন্যরা কে কী করলেন, সেটা দিয়ে আমার কিছু আসে যায় না। আমি নিজেকে দেখে নিজের ভুলগুলো ধরি।


আরো সংবাদ



premium cement