২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মনিরের অভিনেতা থেকে প্রযোজক হয়ে উঠা

-

মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের সরাবাড়ি গ্রামের সন্তান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তার বাবা আব্দুল্লাহেল বাকী ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাবা বেঁচে না থাকলেও মা মোমেনা সিদ্দিকী এখনো বেঁচে আছেন। থাকেন ঢাকাতেই শাহজাহানপুরে তার সাথে। মনির বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন সফল প্রযোজক। তবে একজন প্রযোজক হওয়ার আগে তিনি ছিলেন নিয়মিত একজন মঞ্চাভিনেতা। প্রয়াত গুণী অভিনেতা, পরিচালক সিরাজ হায়দারের নাটকের দল রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠীর নিয়মিত অভিনেতা ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে তিনি এই দলের হয়ে ‘অল ইন্ডিয়া ড্রামা কম্পিটিশন’-এ প্রথম হয়েছিলেন। এরপর থেকে যেন মঞ্চে অভিনয়ে তার আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের সাবেক এই ছাত্র অভিনয় করেছেন ‘শয়তানের ব্লাড প্রেসার’, ‘বেয়াদবি মাফ করবেন’, ‘পাগলা ঘণ্টা থামাও’, ‘বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করিনি’। শয়তানের ব্লাড প্রেসার নাটকের কম করে হলেও ৩৫০ মঞ্চায়নে এবং ‘বেয়াদবি মাফ করবেন নাটকের প্রায় ৪০০ মঞ্চায়নে অভিনয় করেছেন মনির। সিরাজ হায়দার মারা যাওয়ার পর এই নাট্যদলের নাটকের মঞ্চায়নও অনেক কমে গেছে। যে কারণে সর্বশেষ করোনার আগে মনির মঞ্চে সর্বশেষ অভিনয় করেছেন। সিনেমায় তার প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ছিল ‘কাঙালি রাজা’। এতে নায়ক ছিলেন রুবেল। পরবর্তীতে প্রযোজনার সাথে যুক্ত থেকেছেন ‘চোর চোর’, ‘নষ্ট’, ‘দুই মাস্তান’ সিনেমার সাথে। তার প্রযোজনায় পরবর্তীতে নির্মিত হয়েছে ‘জানা আমার জান’, ‘জান কোরবান’, ‘রাজা বাবু’ সিনেমা তিনটি। তিনটি সিনেমাতেই নায়ক ছিলেন শাকিব খান। মনির বলেন, ‘শখের বশেই অভিনয় করতাম। সিরাজ হায়দার ভাই ছিলেন আমার অভিনয়ের গুরু। তার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তারপরও তার হাতে গড়া দলটি এখনো আমাদের চেষ্টায় টিকে আছে।


আরো সংবাদ



premium cement