এটি আমার প্রথম সিনেমা নয় : চমক
রুকাইয়া জাহান চমক ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছিলেন। এরপর আলোচনায় আসেন ধারাবাহিক নাটক ‘হাউস নং-৯৬’-এ অভিনয় করে। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন জয় বাংলা ধ্বনি নামে একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন চিত্- ১০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০৫
প্রশ্ন : পড়াশোনা করেছেন মেডিক্যাল কলেজে, এখন আপনাকে নিয়মিত অভিনয়ে দেখ যায়। ভবিষৎ পরিকল্পনা কী?
রুকাইয়া জাহান চমক : পড়াশোনার সাথে আমার বর্তমান ফোকাস লাইনের মিল পাচ্ছেন না বলেই হয়তো এই প্রশ্ন। আসলে আমি ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই নাচ শিখতাম। অভিনয় তো নাচের অংশই। ভালো নাচের কারণে তখন থেকেই এলাকায় আমার বেশ পরিচিতি ছিল।
প্রশ্ন : সাংস্কৃতিক দিকটাই যদি ফোকাস পয়েন্টে রাখবেন তাহলে মেডিক্যালে কেন ভর্তি হয়েছিলেন?
রুকাইয়া জাহান চমক : মা-বাবার ইচ্ছা ছিল আমাকে মেডিক্যালে পড়াবে। ডাক্তার বানাবে। পরে আমি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে নাম লেখাই। যত দূর এগিয়েছিলাম, চাইলেই অভিনয় করতে পারতাম; কিন্তু পড়ালেখার কারণে তখন কিছুই করিনি। এখন এমবিবিএস শেষ। এখন থেকে আমি নিয়মিত অভিনয় করব, নিজের ইচ্ছা পূরণ করব।
প্রশ্ন : গত দুই বছর ধরে নিয়মিত অভিনয় করছেন। এই সময়ে অভিনীত কাজের সংখ্যা কত?
রুকাইয়া জাহান চমক : এখন পর্যন্ত শতাধিক নাটক করেছি। এই সময়ে দর্শক ও পরিচালকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি, যা প্রত্যাশা করিনি। ভাবিনি, সবাই এত দ্রুত আপন করে নেবেন।
প্রশ্ন : এখন কোন কাজটিকে আপনি সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রাখবেন?
রুকাইয়া জাহান চমক : অবশ্যই ‘মহানগর’। অভিনয় জীবনের শুরুতে মহানগরের মতো কাজের অংশ হওয়ায় আমাকে কষ্টটাও ওভাবে করতে হয়নি। মহানগর মুক্তির পরই সবাই আমাকে দ্রুত গ্রহণ করেছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, কলকাতা থেকেও অনেকে এই সিরিজের কথা বলেন। কলকাতার মানুষও আমাকে মহানগর দিয়ে চেনেন, নাটক দিয়ে নয়।
প্রশ্ন : কিন্তু মহানগরে তো আপনার উপস্থিতি অনেক কম ছিল?
রুকাইয়া জাহান চমক : অভিনয় শিল্পীদের নিজেকে প্রমাণের জন্য একটিমাত্র দৃশ্যই যথেষ্ট। সেখানে তো আমার ১০-১২টি দৃশ্য ছিল। সঠিকভাবে অভিনয় করতে পারলে, একটি দৃশ্যই সবার মনে গেঁথে যায়। সবাই মনে রাখে।
প্রশ্ন : ছোট পর্দা থেকে হঠাৎ সিনেমায়?
রুকাইয়া জাহান চমক : আমি তো মিডিয়াতে মাত্র দুই বছর। আর এটি আমার প্রথম সিনেমা নয়, এর আগে আরেকটি সিনেমায় কাজ করেছি, সেটি মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে। আর সিনেমায় আসার কারণ হলো, এখানে কাজের স্থায়িত্ব পাওয়া যায়। নাটক ওয়েব সিরিজ যতই ভালো হোক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ের পর দর্শকের কাছে তার আর কোনো আবেদন থাকে না।
প্রশ্ন : তার মানে পরিকল্পনা করেই সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন?
রুকাইয়া জাহান চমক : না, কোনো পরিকল্পনা করে নয়, এটি ছোট পর্দা বা বড় পর্দা ভেবেও নয়, এটি একটি ভালো গল্প, ভালো প্লট- তাই এর সাথে যুক্ত হয়েছি।
প্রশ্ন : জয় বাংলা ধ্বনির জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি?
রুকাইয়া জাহান চমক : অবশ্যই, আমি মুক্তিযুদ্ধের অনেক সিনেমা দেখেছি। আর ছোটবেলা থেকে যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের গল্প পড়ে, মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা দেখে বড় হয়েছি, এটি সাহায্য করেছে সে ক্ষেত্রে। আর খুব অল্প সময়ের ভেতরে অনেক বেশি প্রস্তুতির সুযোগ পাইনি, তবে ভালোই যাচ্ছে।
প্রশ্ন : ছোট পর্দা ছেড়ে কি সিনেমাতেই নিয়মিত হচ্ছেন?
রুকাইয়া জাহান চমক : হ্যাঁ, অবশ্যই এটি বলতে পারেন। ব্যাক টু ব্যাক আরো দুটি সিনেমা করার কথা রয়েছে এই বছরের শেষের দিকে। তবে ছোট পর্দাতেও অবশ্যই দেখা যাবে। ছোট পর্দা বা বড় পর্দা বলে আমার কাছে কিছু নেই। আমার কাছে শুধু গল্পটাই বড়। আমি গল্প হিসেবে একটি প্রজেক্ট দেখি। আমি আলাদা করে কখনো এটি নির্ধারণ করি না।
প্রশ্ন : চমক নামটি নিজের দেয়া নাকি পরিবার থেকে রেখেছে?
রুকাইয়া জাহান চমক : আমার বড় মামা জন্মের পর বলেছিলেন, এই মেয়ে চমক দেখাবে। তাই চমক নামটি তিনিই রেখেছেন। সত্যি বলতে কী, আমার জন্ম হয়েছিল সোনার চামচ মুখে নিয়ে। আমার জন্মের পর নানাভাই হাসপাতালে সোনার চামচ এনে মুখে মধু দিয়েছিলেন (হাসি)। মানুষ বলে না, ‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম হয়েছে’, আমার ক্ষেত্রে সত্যি সত্যিই তা হয়েছিল। আমার মায়ের বংশের প্রথম নাতনী ছিলাম তো, তাই সবার ভীষণ আদরের ছিলাম।
প্রশ্ন : আপনার জন্ম হয়েছে কোথায়?
রুকাইয়া জাহান চমক : আম্মু যখন প্রেগন্যান্ট, তখন নানাভাইয়ের বরিশালের বাড়িতে চলে যান। বরিশাল সদর হাসপাতালে আমার জন্ম। তবে আমার বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা ঢাকায়। শুরুতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ছিলাম। ক্লাস সেভেনে শিফট হয়ে উত্তরায় চলে আসি। এর পর থেকে সেখানেই আছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা