সাফল্যের তিন দশকে শাবনূর
- সাকিবুল হাসান
- ১৭ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৫
চিত্রনায়িকা শাবনূর, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এমনই একজন নায়িকা যার সিনেমা এখনো হলে মুক্তি পেলে দর্শক প্রবল আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন, এখনো টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার হলে দর্শক তা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন। শাবনূরের সময়কালে শাবনূর অভিনয় দিয়ে নিজেকে এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন যে, তার সমসাময়িক অন্য নায়িকারা বলতে বাধ্য হতেন- তিনি এক ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক নায়িকা। তার সমসাময়িক কালের নায়িকারা জনপ্রিয় হলেও অভিনয়ের দিক দিয়ে শাবনূর ছিলেন সেরা।
অনেকেই টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক বা উপস্থাপিকার প্রশ্নের মুখোমুখি হলে শাবনূরের নামটিই ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয়। বাংলাদেশের সিনেমার অলঙ্কার শাবনূর। যদিওবা এখন তিনি সিনেমায় নিয়মিত নন; কিন্তু তার পরও এখনো তার ভক্ত দর্শকের মধ্যে তাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। ভক্তদের সব সময়ই জিজ্ঞাসা থাকে, তিনি কেমন আছেন, কী করছেন! শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতেই আছেন। করোনার আগে থেকেই সেখানে আছেন তিনি। বাংলাদেশের সিনেমায় শাবনূরের যাত্রা শুরু হয়েছিল সিনেমার ক্যাপ্টেন এহতেশামের হাত ধরে ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমায় নায়িকা হওয়ার মধ্য দিয়ে। এ সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক শাব্বির। সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিল ১৯৯৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপর ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘চাঁদনী রাতে’; কিন্তু ব্যবসায়িকভাবে সফলতার মুখ দেখেনি ‘চাঁদনী রাতে’। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ২২ এপ্রিল মুক্তি পায় বাদল খন্দকার পরিচালিত ‘দুনিয়ার বাদশা’ সিনেমাটি। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন গুণী অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি। এতে আরো অভিনয় করেন শাহনাজ, শাবনূর, নবাগত শাহরুখ শাহ। এতে আবদুল্লাহ চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক আমিন খান। এই সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে বেশ সফল হয়। আলোচনায় চলে আসেন শাবনূর। আর এর পরপরই অর্থাৎ ‘দুনিয়ার বাদশা’ সাফল্যের ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়েই ঠিক এক মাস পর ১৯৯৪ সালের ২২ মে মুক্তি পায় জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ সিনেমাটি। এতে শাবনূরের সাথে প্রথম সালমান শাহ অভিনয় করেন। সিনেমাটি মুক্তির পর তরুণ দর্শক হৃদয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। একই সময়ে ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘হত্যা’, ‘নতিজা’, ‘দুঃসাহস’ ও ‘বালিকা হলো বধূ’ মুক্তি পেলেও দর্শকের ভালোবাসায় আলোচনার শীর্ষে চলে আসে সালমান-শাবনূরের ‘তুমি আমার’। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শাবনূরকে। একই বছরের ১২ আগস্ট মুক্তি পায় শাহ আলম কিরণের ‘রঙ্গিন সুজনসখি’ ও ৯ সেপ্টেম্বর মহম্মদ হাননানের ‘বিক্ষোভ’ সিনেমা দু’টি। জুটি হিসেবে সেই সময় সালমান-শাবনূর তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৫ সালের ১১ মে মুক্তি পায় সালমান শাবনূরের আবদুুল খালেক পরিচালিত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ সিনেমাটি। এটি এই জুটিকে আরো অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এই জুটির ২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় দীলিপ সোমের ‘মহামিলন’। ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় শাহ আলম কিরণের সালমান-শাবনূর জুটির ‘বিচার হবে’।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা