২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রুনা আপা নিরহঙ্কারী মানুষ: মিনু

রুনা আপা নিরহঙ্কারী মানুষ: মিনু -

বাংলাদেশে তথা উপমহাদেশের বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার গান শুনে শুনেই গানের ভুবনে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী আলম আরা মিনু। খুব ছোট্টবেলায় তার বাসায় আনা মেহেদী হাসান ও রুনা লায়লার একটি ক্যাসেটে প্রথম মেহেদী হাসান ও রুনা লায়লার গান শোনেন মিনু। রুনা লায়লার গানগুলো শুনে শুনে তিনি চর্চা করতেন। পরবর্তীতে মিনুর গানে হাতেখড়ি হয় তার বাবার কাছে এবং পরে তিনি গান শিখেন ওস্তাদ রাখাল নন্দী বাবু ও ওস্তাদ সঞ্জীব দে’র কাছে। কয়েক দিন আগে রুনা লায়লার সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় আলম আরা মিনুর। সেখানে রুনা লায়লার প্রতি মিনু তার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন। যতটা সময় রুনা লায়লা অনুষ্ঠানে ছিলেন মিনুও তার সান্নিধ্য পাওয়া থেকে দূরে থাকেননি। মিনুর মনে হয়েছে একজন রুনা লায়লার পাশে পাশে থেকে তার আশীর্বাদে থাকার মধ্যেও এক ধরনের তৃপ্তি আছে। মিনুর স্বামী সুরস্রষ্টা সেলিম আশরাফ যখন হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ছিলেন তখন রুনা লায়লা কলকাতায় ছিলেন। সেই সময় মিনু রুনা লায়লার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ দিয়ে রেখেছিলেন। কলকাতা থেকে ঢাকার বিমানবন্দরে নামার পর সেই ম্যাসেজ পেয়ে রুনা লায়লা সাথে সাথেই মিনুকে ফোন করেন এবং পরের দিনই হাসপাতালে গিয়ে সেলিম আশরাফকে দেখতে যান। সে দিন থেকে যেন রুনা লায়লার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আরো বেড়ে গেলো মিনুর। মিনু বলেন, ‘হয়তো বা আমার ম্যাসেজ পেয়ে রুনা আপা না-ও আসতে পারতেন। কিন্তু দেশে ফিরে পরের দিনই তিনি হাসপাতালে এলেন, যা আমার হৃদয়কে ভীষণভাবে স্পর্শ করেছে। আমি এক জীবনে রুনা আপার মতো এমন নির্লোভ, নিরহঙ্কারী, দায়িত্বশীল, ভীষণ কেয়ারিং, স্ট্রং পার্সোনালিটির মানুষ খুবই কম দেখেছি। তিনি বিশ^জয়ী একজন সঙ্গীতশিল্পী। যার গান নিয়ে বিশেষভাবে বলার মতো আমি কেউ নই।
শুধু এতটুকু বলবো যে আমাদের একজন রুনা লায়লা আছেন এটা আমাদেরই গর্ব। তিনি চাইলেই অন্য কোনো দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন। কিন্তু বাংলাদেশকে ভালোবেসে তিনি বাংলাদেশেই রয়ে গেলেন। কত্তো বড় মনের মানুষ তিনি তা তারাই কেবল ভালো বলতে পারবেন যারা একজন রুনা আপাকে খুব কাছে থেকে অনুভব করেছেন। একজন বিশ^বনন্দিত সঙ্গীতশিল্পী, একজন মায়াবতী মা, একজন ভালোবাসার বড় আপা রুনা আপা সবসময়ই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন- এই দোয়া করি।’
ছোটবেলা থেকেই রুনা লায়লার গাওয়া হিন্দি, উর্দু, বাংলা গান মিনু মঞ্চে গেয়েছেন অসংখ্যবার। বিশেষ করে রুনা লায়লার গাওয়া আনকমন গানগুলো যেমন- হেরে গেছি আজ আমি, আমি নদীর মতো কতো পথ ঘুরে, হাতের কাঁকন ফেলেছি খুলে- এমন গানগুলোই বেশি গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মিনু তার অ্যালবামে রুনা লায়লার ‘চঞ্চলা হাওয়ারে’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গান কাভার করেছিলেন। জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি মিনুর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য শিল্পীর নাম রুনা লায়লা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যার তদন্ত ও চাকরিতে পূর্ণবহালের দাবি গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত : হামাস অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যা : সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের প্রতিবাদ সমাবেশ নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার সাথে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে স্বাগত বিশ্ব নেতাদের আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা ববিতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির বিষয়ে সব পক্ষের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের হাসিনার পালানোর দৃশ্য মনে করতে বললেন ফারুকী

সকল